বরুণ ধওয়ান। নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন অভিনেতা। ‘যুগ যুগ জিয়ো’ (২০২২)-এ বরুণকে দেখা যায় বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ সামলাতে ব্যস্ত, এ দিকে সিনেমার গল্পে তাঁর নিজের বিয়েই ভেঙে যেতে বসেছিল।
তার পর ‘ভেড়িয়া’ (২০২২)-এ বরুণের অন্য রূপ। নেকড়ে হয়ে দেখা দিলেন তিনি, ভয় ধরালেন। নতুন উপলব্ধি উপহার দিলেন দর্শককে। ছকভাঙা কাজের মধ্যে দিয়েই ৩৬ বছরে পা দিলেন বরুণ।
২৪ এপ্রিল, তাঁর জন্মদিনে নেটদুনিয়ায় ঘুরছে এক সাক্ষাৎকার, যেখানে বরুণকে অকপটে বলতে শোনা যায়, “কিছু বাছাই কাজ করার জন্য নিজের পারিশ্রমিক কমাতেও রাজি আছি।”
বরুণের দাবি, নিজের ভিতরের শিল্পীসত্তাকে সন্তুষ্ট করতে না পারলে তাঁরও মুক্তি নেই। তাঁর কথায়, “সহজ ভাবে বলতে গেলে, ভাল সিনেমা করব সেটাই লক্ষ্য। প্রযোজকেরও তাতে লোকসান হবে না, আবার বক্স অফিসের আয়ও গুরুত্ব পাবে। তবে কিছু কিছু কাজ এমনও করতে চাই, যাতে শুধুমাত্র আমার ভিতরের অভিনেতাটাই প্রশ্রয় পাবে।”
১০ বছরে মূলধারার মশলাদার ছবিতেই জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন বরুণ। তার ফাঁকেই যে চেষ্টা করছিলেন স্বাদ বদলের, নিজেকে আবিষ্কারের— তা স্পষ্ট বোঝা যায় ‘বদলাপুর’(২০১৫) কিংবা ‘অক্টোবর’ (২০১৮)-র মতো ছবিতে।
যা শিখেছেন কাজ করতে গিয়ে তা নিজের জীবনেও কাজে লাগিয়েছেন বলে জানান বরুণ। তাঁর কথায়, “অতিমারির সময় আমি ফাঁপরে পড়েছিলাম। প্রথম উপলব্ধি করলাম, যা কাজ করছি, তাতে সুখী নই। এমন চিত্রনাট্য বাছতে হবে যাতে নিজেকে সন্তুষ্ট করতে পারি। ২০২২ সাল সব দিক দিয়ে আমার কেরিয়ারের সৃজনশীল সময়। ‘যুগ যুগ জিয়ো’, ‘ভেড়িয়া’ এবং ‘বাওয়াল’-এ চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য আমি অনেকটা সময় অপেক্ষা করেছি। অভিনেতা হিসাবে এই কাজগুলি করতে পেরে আমি গর্বিত।”
বরুণের বাবা ডেভিড ধওয়ানও পরিচালনার জগতে বিখ্যাত নাম। কিন্তু তাঁর হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আসার অপেক্ষায় ছিলেন না বরুণ। সুবিধা নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না একেবারেই। কর্ণ জোহরের পরিচালনায় ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ (২০১২)-এ আলিয়া ভট্ট এবং সিদ্ধার্থ মলহোত্রের সঙ্গে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বরুণ।
শীঘ্রই মুক্তি পাবে নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত ‘বাওয়াল’, যেখানে জাহ্নবী কপূরের বিপরীতে দেখা যাবে বরুণকে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক সিরিজ় ‘সিটাডেল’-এর ভারতীয় সংস্করণেও অভিনয় করেছেন বরুণ।