The news is by your side.

২২তম  রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন

0 88

 

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার সকাল ১১টার দিকে বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে (সাহাবুদ্দিন) রাষ্ট্রপতির পদে শপথ বাক্য পাঠ করান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশত বিশিষ্ট অতিথি এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। রাষ্ট্রপতি হামিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করার পরে অবসরে যাচ্ছেন।

৭৩ বছর বয়সী এই  রাজনীতিবিদ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়াারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম চুপ্পু। তাঁর বাবার নাম শরফুদ্দিন আনছারী এবং মা’র নাম খায়রুন্নেসা।

তিনি ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সাহাবুদ্দিন ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন এবং অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।

মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তাঁর অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে।

কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

সাহাবুদ্দিন পরপর দুবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

পরে ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে উঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সুদানে প্যারামিলিটারি-সেনাবাহিনীর সংঘাতে নিহত বেড়ে ৪২০

 

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাতে নিহত বেড়ে ৪২০ জনে দাঁড়িয়েছে । আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ জন মানুষ। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এই তথ্য জানিয়েছে।

চলমান সংঘাতের কারণে সুদান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে দেশটিতে একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মার্কিন কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ১০০ জনকে তারা সরিয়ে নিয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্য জানায়, সুদান থেকে তারা ব্রিটিশ কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করেছে। জার্মানি ও ফ্রান্স গতকাল জানায়, তারা তাদের নাগরিকসহ অন্যদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

ইতালি, নেদারল্যান্ডস, গ্রিসসহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্ধারপ্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করছে। তুরস্ক গতকাল ভোরে সড়কপথে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু পরে বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে তা স্থগিত করা হয়।

গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এই সংঘাতের এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আছেন আরএসএফের প্রধান সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিল’-এর নামে দেশ পরিচালনা করছিলেন।

এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। অপরদিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।

 

 

 

 

 

পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে রবিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত মধ্য রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ রাজনীতিক ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য (৮৩)। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.