বিচারব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিবাদে জনতার ঢল নেমেছে ইসরায়েলের তেল আবিবের রাজপথে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অতি-ডানপন্থি সরকার এবং দেশের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে শনিবার হাজার হাজার মানুষ তেল আবিবে আবারও বিক্ষোভে নামে। গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে তারা। এতে নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ বাড়ছে।
শনিবার তেল আবিবে নেতানিয়াহুর মুখের ওপর ‘অপরাধমন্ত্রী’ ব্যানার দেখা যায়। এছাড়াও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নেতিবাচক লেখা ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে জড়ো হন অনেকে।
তেল আবিবের সমাবেশ থেকে ইহুদি নারীদের জাতীয় কাউন্সিলের প্রধান শিলা কাটজ বলেন, এটি তথাকথিত বিচারিক সংস্কার সম্পর্কে নয়, এটি গণতন্ত্রের বিষয়।
চাপের মুখে মুখে গত মাসে বিচারব্যবস্থার সংস্কার থেকে সাময়িক পিছু হটার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে পিছু হটার ঘোষণা দিলেও সংস্কার প্রস্তাব বাতিলের ঘোষণা দেননি তিনি। এতে ক্ষোভ আরও বাড়ছে।
শনিবার অনেক বাবা-মা সন্তানদের নিয়ে বিক্ষোভে এসেছিলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একজন বলেন, পুরো পরিকল্পনা নিয়ে এখন যা ঘটছে তা ইসরায়েলের গণতন্ত্রের জন্য সত্যিকার অর্থেই বিপদ। আর নেতানিহুয়ার এমন পরিকল্পনা পাস হয়ে গেলে এই দেশটি স্বৈরাচারের দিকে ঠেলে দেবে।
নেতানিয়াহুর সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যেই যে ক্ষোভ তা নয়, সামরিক বাহিনীর অভিজাত রিজার্ভ ইউনিটের অনেক কর্মকর্তাদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা গেছে। ব্যবসায়ী নেতা ও নিরাপত্তা সংস্থা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নেমেছে। ট্রেড ইউনিয়নও সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।