চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ড্যাশবোর্ডের মিড-২০২৩ হিসাব বলছে, চীনের তুলনায় বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা অন্তত ২৯ লাখ বেশি।
জাতিসংঘের সবশেষ তথ্য বলছে, ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। এর বিপরীতে চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ। এ তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আনুমানিক জনসংখ্যা ৩৪ কোটি।
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
১৯৫০ সালে জাতিসংঘ তার সদস্য দেশগুলোর জনসংখ্যার হিসাব রাখা শুরু করার পর থেকে এই প্রথম শীর্ষে উঠে এলো ভারত। তবে চীনের হিসাবের মধ্যে অবশ্য হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানের জনসংখ্যা যোগ করা হয়নি।
এর আগে গত বছর জনসংখ্যার সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছিল চীন। এরপর থেকে দেশটির জনসংখ্যা কমতে শুরু করে। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের জনসংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। তবে ১৯৮০ সাল থেকে দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী।
ভারতের তুলনায় চীনা নাগরিকদের গড় বয়স অনেকটা বেশি। চীনে নারীদের গড় বয়স ৮২ বছর, আর পুরুষরা বাঁচেন ৭৬ বছর। অন্যদিকে ভারতে নারীদের গড় বয়স ৭৪ বছর এবং পুরুষরা বাঁচেন ৭১ বছর।
এনবিএস প্রধান ক্যাং ই জানান, চীনের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার ধারায় উদ্বেগের কিছু নেই, কারণ এখনও দেশটির সার্বিক শ্রম সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি আছে।
চীন তাদের কঠোর ‘এক-সন্তান নীতি’ থেকে ২০১৬ সালে সরে আসে এবং ২০২১ সালে প্রতিটি পরিবারকে সর্বোচ্চ ৩ সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিলেও তাদের জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০৫০ সাল নাগাদ চীনের জনসংখ্যা ১০ কোটি ৯০ লাখ কমে যেতে পারে। ২০১৯ এর পূর্বাভাষের তুলনায় এটি ৩ গুণ বেশি।