সর্ষের মধ্যে ভূত নয়, এক্কেবারে প্রেম মাখা দুই শরীরের গল্প নিয়ে আজ থেকে স্ট্রিমিং হবে জি ফাইভের ‘ভালবাসার শহর’-এর দ্বিতীয় সিরিজে ‘সর্ষে ইলিশ’। পরিচালক উৎসব মুখোপাধ্যায়।
ছাপোষা মধ্যবিত্ত ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের (আবির) জীবনে ‘আলো’ হয়ে ঝরে অঙ্কিতা। ইংরেজি বলা খানিক উচ্চবিত্ত জীবনধারায় বিশ্বাসী আলো দিব্যি সরকারি চাকুরে বরের সঙ্গে খুশিতে সংসার করে। কিন্তু আবিরের মনে শান্তি নেই। সে ভাবে সুন্দরী বউকে সে সন্তুষ্ট করতে পারছে না! কেন? ইলিশে সর্ষের মধ্যে কি জল মেশে? সেই জল কি কোনও অন্য পুরুষ? সর্ষে তেতো হয়ে যায়?
এই প্রশ্নের উত্তর দেবে ‘সর্ষে ইলিশ’। এ শহরের প্রেম আর দাম্পত্যকে রসনার পাতে ওয়েব সিরিজে ভিন্ন মোড়কে পরিবেশন করছেন উৎসব। ট্রেলর দেখে বোঝা যায় ‘সর্ষে ইলিশ’-এ যৌন দৃশ্য এসেছে গল্পের সঙ্গে। এই যৌন প্রসঙ্গ কি ওয়েব সিরিজ বলেই সম্ভব হল?
‘‘একেবারেই না। ছোট গল্পের আঙ্গিকে আসা ঘটনাই এই ছবিতে ‘ইন্টিমেট সিন’ তৈরি করে দেয়। তবে এ প্রসঙ্গে বলি, ইদানীং অনেক ওয়েব সিরিজেই আরোপিত যৌন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আসলে টেলিভিশন আর সিনেমার মাঝামাঝি জায়গায় ওয়েব সিরিজের চাহিদা তৈরি হয়েছে। কোনও মাধ্যমকে অস্বীকার করে নয়। তার মানে যদিও এটা নয় যে টেলিভিশনে যা যা দেখান যায় না তার সব ওয়েব সিরিজে দেখাতে হবে এমনটাও নয়,’’ সাফ জবাব উৎসবের।
‘সর্ষে ইলিশ’ তাঁর দ্বিতীয় ওয়েব সিরিজ। চরিত্রায়নেও অভিনবত্ব এনেছেন তিনি। ‘‘মধ্যবিত্ত লুক তৈরির জন্য এই প্রথম ইন্দ্রনীলকে দাড়ি রাখতে বলা হয়েছিল। আবিরের নিরাপত্তাহীনতা ওর চেহারায় যেন ধরা না পড়ে, সে কথা মাথায় রেখে ইন্দ্রনীলকে বাছা হয়েছে। আর অঙ্কিতার লুকটাই এমন যে হট প্যান্ট থেকে শাড়ি, যে কোনও সাজেই ওকে মানায়।’’ বললেন ‘ভীতু’ ছবির পরিচালক উৎসব।