মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং তাঁর স্ত্রী সাক্ষীর প্রেমকাহিনি কারও অজানা নয়। এক দশকের বেশি সময় একে অপরের সঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছেন মহেন্দ্র এবং সাক্ষী। কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন দু’জনে।
সাক্ষীর সঙ্গে আলাপ হওয়ার আগে ধোনির মন বাঁধা পড়েছিল বলিপাড়ার বহু অভিনেত্রীর কাছে। কখনও দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে, কখনও বা আসিনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ধোনির।
২০০৯ সালে দক্ষিণী ফিল্মজগতের অভিনেত্রী রাই লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ধোনি। অভিনেত্রীকে বেশির ভাগ সময় ধোনির সঙ্গে দেখা যেত। আইপিএল-এর খেলা হয়ে যাওয়ার পর খেলোয়াড়রা যে পার্টিতে যেতেন, সেই পার্টিতে ধোনির সঙ্গিনী হিসাবে দেখা যেত রাই লক্ষ্মীকে।
ধোনির সঙ্গে রাই লক্ষ্মীর সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। ধোনির বিয়ে হয়ে যাওয়ার চার বছর পর এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী তাঁর সঙ্গে ধোনির সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন।
রাই লক্ষ্মী বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ধোনির এমন সম্পর্ক ছিল যা বহু দিন সঙ্গে থেকে যাবে। একটা দাগের মতো, যা সহজে ছেড়ে যাওয়ার নয়।’’
তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড় ছবির পাশাপাশি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় শুরু করেছেন রাই লক্ষ্মী। চলতি মাসে মুক্তি পাওয়া ‘ভোলা’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
রাই লক্ষ্মীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর প্রিয়ঙ্কা ঝার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ধোনি। বহু দিন সম্পর্কে ছিলেন দু’জনে। কিন্তু ২০০২ সালে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রিয়ঙ্কা।
২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ ছবির চিত্রনাট্যে ধোনি এবং প্রিয়ঙ্কার সম্পর্কের দিকটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। ধোনির প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল বলি অভিনেত্রী দিশা পাটানিকে।
প্রিয়ঙ্কার মৃত্যুর পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ধোনি। প্রেমিকাকে হারানোর কয়েক মাসের মধ্যেই টেলিভিশন প্রযোজক প্রীতি সিমোসের সঙ্গে ধোনিকে দেখা যায়। ‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’ রিয়্যালিটি শোয়ের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রীতি।
ধোনির সঙ্গে প্রীতিকে বহু বার একসঙ্গে দেখা গেলে বলিপাড়ায় কানাঘুষো চলতে থাকে যে, দু’জনে সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে থাকার কথা কোনও পক্ষ থেকেই ঘোষণা করা হয়নি।
২০২০ সালে অবশ্য ধোনির জন্মদিন উপলক্ষে প্রীতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। ধোনির সঙ্গে যে তাঁর ১৪ বছরের বন্ধুত্ব রয়েছে, তা-ও ছবির সঙ্গে পোস্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
২০০৭ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিটি। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই পরিচিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল দীপিকার। সেই সময় ধোনির সঙ্গেও নাম জড়িয়ে পড়ছিল অভিনেত্রীর।
২০০৭ সাল থেকেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ধোনি এবং দীপিকা। এমনকি, দু’জনকে একটি শোয়ের জন্য র্যাম্পে হাঁটতেও দেখা যায়। যদিও দীপিকা বা ধোনির মধ্যে কেউই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেননি।
কানাঘুষো শোনা যায় যে, দীপিকার জন্যই নাকি ধোনি তাঁর লম্বা চুল কেটে ফেলেছিলেন। তবে তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহের সঙ্গে দীপিকার মেলামেশা বেড়ে যাওয়ার কারণে ধোনির সঙ্গে নায়িকার বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
বলি অভিনেত্রী আসিনের সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে এসেছিলেন ধোনি। আসিন এবং ধোনি দু’জনেই একটি নামী পোশাক সংস্থার প্রচারের মুখ ছিলেন। কাজের সূত্রেই দু’জনের আলাপ হয়। কিন্তু ক্রমশ সেই আলাপ গড়িয়ে যায় বন্ধুত্বে।