গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে বারিশ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজায় তাঁর ছেলে এ তথ্য জানান।
বারিশ চৌধুরী বলেন, পারিবারিক সিদ্ধান্তে আগামীকাল শুক্রবার সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পঞ্চম জানাজা শেষে তাঁকে সেখানে দাফন করা হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করা হবে নাকি দান করা হবে সে বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানিয়েছিল তাঁর পরিবার। শেষ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা মরদেহ দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তাঁর ছেলে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
এর আগে আজ সকাল ১০টা ৫ মিনিটে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আনা হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। সর্বস্তরের মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ মরদেহ শহীদ মিনারের সামনে গার্ড অব অনারের জন্য আনা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়।