দুর্নীতির মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন।
একই সঙ্গে তারেক-জোবায়দা ব্যক্তিগত খরচে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না বলে বিচারক আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
একই আদালত লন্ডন থেকে দুর্নীতি মামলায় আইনি লড়াইয়ের সুযোগ চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের আবেদন খারিজ করেন।
রোববার (৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিন তারেক-জোবায়দার পক্ষে ব্যক্তিগত খরচে আইনজীবী নিয়োগ করতে শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে দুদক এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদেশের জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার বাকি দুই আসামি তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানু। ২০০৮ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।
গেজেটে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।
গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বর্তমানে তারা পলাতক।
তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।