কোনো বিচারক দুর্নীতি করলে তাকে বিচার বিভাগে রাখ হবে না। যে জজ ‘বিচার বিক্রি’ করবে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার ঝিনাইদহ বার সমিতির সম্মেলন কক্ষে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ কথা বলেন।
দুর্নীতিকে ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আঙুলে ক্যান্সার হলে কেটে বাদ দিতে হয়। তেমনি দুর্নীতবাজদেরও বাদ দিতে হবে। ডাকাতরা ডাকাতির সময় সোনা-গহনা, টাকা-পয়সা নিয়ে যায়। আর যে বিচারক টাকা নিয়ে একজনের সম্পদ অন্যকে দেয় তিনি ডাকাতের চেয়েও খারাপ।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির জন্য এ দেশ স্বাধীন হয়নি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। প্রশংসিত হচ্ছে। তাই বিচার বিভাগকেও এগিয়ে যেতে হবে। দেশে যে পরিমাণ মামলা দায়ের হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে।
তিনি জুনিয়র আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আলোকিত জীবন গড়তে হবে। জুনিয়র ক্যারিয়ার গড়তে সহযোগিতার জন্য সিনিয়রদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় জেলা জজ মোঃ নাজিমুদৌলা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম, সরকারি কৌসুলী বিকাশ কুমার ঘোষ, পিপি এ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী আজিজুর রহমান, এসএম মশিউর রহমানসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
এর আগে আদালতে আগত বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য জজ আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রতি জেলায় আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ স্থাপন করা হবে। যাতে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট না হয়।