আট বছর ধরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান মুখ ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তবে অসুস্থতার কারণে এ বার উপস্থিত থাকতে পারলেন না অভিনেতা। সরকারের তরফ থেকে নিমন্ত্রণ গিয়েছিল তাঁর কাছে। কিন্তু গত এক মাস ধরেই বেশ অসুস্থ অমিতাভ। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে নিমন্ত্রণ পেলে অমিতাভ জানান, তিনি যেতে পারবেন না।
সেট হোক বা অনুষ্ঠান, দেরি করে পৌঁছনোর জন্য শাহরুখ খানের সুনাম রয়েছে। নিজস্ব বিমানে সাড়ে চারটে নাগাদ কলকাতায় আসেন শাহরুখ। তার পর হোটেলে যান। সেখান থেকে নেতাজি ইন্ডোর। তাঁর জন্যই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান খানিক দেরিতে শুরু হয়। তবে এমন ঘটনা প্রথম বার নয়। দেরির জন্য মমতা তাঁকে মৃদু বকুনি দিয়েছেন, এমনও হয়েছে। এ বারেও যেন মুখ্যমন্ত্রী একটু ‘ঠুকলেন’ শাহরুখকে। মহেশ ভট্ট তাঁর বক্তব্যে, ভাষা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত প্রসঙ্গে মমতাকেই সমর্থন করেন। মমতার বক্তব্য, ‘সবাই মহেশজির মতো সাহসী নন।’ নিশানায় কি বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর?
ঘরে ফেরা
তিনি বাংলার মেয়ে। শহরে হয়তো নিয়মিত আসা হয় না। কিন্তু প্রাণ জুড়ে রয়েছে বাংলা। রাখী গুলজ়ারের ছবি ‘নির্বাণ’ দেখানো হবে উৎসবে। অনেক দিন পরে শহরে এসে স্মৃতিকাতর অভিনেত্রী। অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন রাখীই। ব্যাকস্টেেজ মাধবী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে খোশগল্পে মশগুল হলেন তিনি। বাকি তারকারাও তাঁর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। আসার কথা ছিল গুলজ়ার এবং মেঘনার। কিন্তু নিমন্ত্রণপত্র দেরিতে পৌঁছনোয় এবং ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেননি।
আসা যাওয়ার মাঝে
প্রত্যাশামতোই অনুষ্ঠানে এলেন না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দেখা গেল না সন্ধ্যা রায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেনকেও। যদিও নিমন্ত্রণ গিয়েছিল সকলের কাছেই। অনুষ্ঠানমঞ্চে কে কোথায় বসবেন, তার পিছনেও অনেক অঙ্ক রয়েছে। অরিন্দম শীল অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু ফোরফ্রন্টে তাঁকে সে ভাবে দেখা গেল না। সরকারি অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকলেও এ দিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তীরা। শুভশ্রী, শ্রাবন্তীর পাশাপাশি এ বারে নতুন মুখ সৌরসেনী মৈত্র। দিদির মুখে তাঁর নামও উঠে এল। এ দিনের আর এক চমক, শোভন ও বৈশাখী চট্টোপাধ্যায়। ভিআইপি গেট দিয়ে তাঁরা প্রবেশ করেন। ছিলেন দর্শকাসনের সামনে। তবে অনুষ্ঠান শেষ হতেই তড়িঘড়ি বেরিয়ে যান।
মন জানে না
রাজনীতিতে আসার পর থেকে সিনেমার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে মিমি চক্রবর্তীর। প্রচারের আলো থেকেও দূরে নায়িকা। অনুষ্ঠানে এলেন একটু দেরি করে। মঞ্চে ওঠার সময়ে সঞ্চালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় তাঁকে যেন হালকা বকুনিও দিলেন। গত বার শাহরুখকে মিমিই অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন। এ বারে সেই দায়িত্বে ছিলেন নুসরত। মিমির আড়ষ্ট উপস্থিতি চোখে পড়েছে অনেকেরই। তবে অনুষ্ঠানশেষে রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর স্বাভাবিক কথোপকথনও নজর কেড়েছে।