প্রীতির সঙ্গে যা হয়েছে তা একেবারেই কাম্য নয়: হৃতিক, প্রিয়াঙ্কা, মালাইকা
হেনস্থার শিকার প্রীতি জিন্টা, বিপর্যস্ত নায়িকা
নিজের শহর মুম্বইয়ে হেনস্থা! তাও আবার একই দিনে পরপর দু’বার। মানসিক দিক থেকে এক্কেবারে ভেঙে পড়েছেন প্রীতি জিন্টা। সে কথা তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেওছেন। নায়িকার হেনস্থার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সরব তাঁর তারকা বন্ধুরা। প্রীতির সমর্থনে সামাজিক পাতায় সমর্থন জানিয়েছেন হৃতিক রোশন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, মালাইকা অরোরা। তাঁদের দাবি, প্রীতির সঙ্গে যা হয়েছে তা একেবারেই কাম্য নয়।
কী হয়েছে প্রীতির সঙ্গে? নায়িকা ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, তিনি যখন গাড়িতে উঠছিলেন তখন এক প্রতিবন্ধী সামনে চলে আসেন। তিনি অর্থের দাবি করতে থাকেন। হয়রানি শুরু করেন। প্রীতি গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে এগিয়ে গেলেও সেই ব্যক্তি তাঁকে ধাওয়া করেন। প্রীতির মতে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাঁকে এভাবেই হেনস্থা করে চলেছেন। একই সঙ্গে পাপারাৎজিরাও ছবি তোলার জন্য পীড়াপীচটি করতে থাকেন। এই বিষয়ে বলিউডের দাবি, ক্রমশ ছবিশিকারি এবং অনুরাগীদের আচরণ বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ওই দিন বিকেলে প্রীতির সন্তানেরা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। তিনি জানিয়েছেন, এক মহিলা অনুমতি ছাড়াই তাঁর মেয়ে গিয়ার ছবি তোলার চেষ্টা করেছিলেন। তার পর তাকে কোলে নিয়ে ঠোঁটের ঠিক পাশে “ভেজা” চুমু খান। অভিনেত্রীর অভিযোগ, উভয় ক্ষেত্রেই উপস্থিত পাপারাৎজিরা কোনওভাবে হস্তক্ষেপ বা সাহায্য করেননি। ছবি তুলতে তুলতে হেসেছেন। প্রীতির বক্তব্য জেনেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন হৃতিক। তিনি লেখেন, যা করেছেন প্রীতি উচিত কাজ করেছেন। মালাইকার দাবি, এই প্রতিবাদের প্রয়োজন ছিল। প্রিয়াঙ্কা প্রীতির সাহসের প্রশংসা করেন। অর্জুন রামপাল ভরসা দিয়ে বলেন, তিনি পাশে আছেন। এরকম বিপদে পড়লে প্রীতি যেন তাঁকে ডেকে নেন। তিনি শায়েস্তা করে দেবেন।
প্রীতি মনে করেন, “আমি প্রথমে একজন মানুষ। তারপর একজন মা। এবং তারপর একজন তারকা। আমি যেখানে আছি সেখানে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমার বাচ্চারা কোনও প্যাকেজ চুক্তির অংশ নয়। দয়া করে আমার বাচ্চাদের একা ছেড়ে দিন। ওদের ছবি নেবেন না। ছুঁয়ে দেখতে যাবেন না। তারা শিশু। ওদের সঙ্গে তাই শিশুর মতো আচরণ করা দরকার। তারকাদের মতো নয়।