সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই। তবে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রোগ্রাম (বিআরএসপি) প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রকল্পটির অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এ প্রকল্পে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে নিরাপত্তার রেটিং প্রদান বিষয়ক গবেষণামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত আছে। এ কার্যক্রমের আওতায় সড়কের নিরাপত্তা ও জিওমেট্রির ভিত্তিতে বিভিন্ন জংশন উন্নয়নের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ২০২৭ সাল নাগাদ বাস্তবায়ন হবে।
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিআরটিএর উদ্যোগে ‘ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ’ শ্লোগানটিকে সামনে রেখে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই সিস্টেমে প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে না এসে ডাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) সার্ভারের সঙ্গে ম্যাচ করতে বায়োমেট্রিক দিয়ে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কোনো প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেম (বিআরটিএ-আইএস) এ রেজাল্ট ইনপুট দেওয়া সম্ভব নয়। রেজাল্ট ইনপুট না দেওয়া হলে প্রার্থীর অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ নেই। তাই পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক ছাড়া ভারী যান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সুযোগ নেই।