The news is by your side.

যাত্রী সংকটে ঝালকাঠি-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

0 180

জহির রায়হান, বরিশাল

লঞ্চে যাত্রী সংকট দেখা দেয় গোটা দক্ষিণাঞ্চলে। এই অঞ্চল থেকে ঢাকার সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে যাত্রীরা।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর যাত্রী সংকটে রোটেশন করে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের লঞ্চের সংখ্যা চলাচল করছে৷ কিন্তু এবার যাত্রী সংকটের কারণে ঝালকাঠি-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

তবে ঈদের আগে পড়ে এই রুটে যাত্রীর চাপ বাড়লে পড়ে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

লঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ বিকালে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে অর্ধশতরও কম যাত্রী হওয়ায় ঝালকাঠি ঘাট ছেড়ে যায়নি এমভি সুন্দরবন-১২ নামক যাত্রীবাহী লঞ্চ। ওইদিনের পর থেকে এমভি ফারহান-৭ লঞ্চ এ রুটে চলাচল করলেও একই সমস্যার কারনে সেটিও বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ।

ঝালকাঠি ঘাটে ৬ দিন বেঁধে রাখার পর সুন্দরবন-১২ নামের লঞ্চটি ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যায়। এরপর ঢাকা থেকে আর ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি।

এমভি ফারহান-৭ লঞ্চের ঝালকাঠি ঘাট ম্যানেজার মো. সবুজ হোসেন জানান, ‘ঝালকাঠি থেকে ঢাকা যেতে আমাদের লাস্ট ট্রিপে মাত্র ৬০ জন ডেক যাত্রী হয়েছে। আর কেবিন ভাড়া হয়েছে মাত্র ২/৩ টি। এতে বর্তমানে প্রতিবার ঢাকা আসা যাওয়ায় লঞ্চ মালিকের মোটা অংকের লোকশানে পড়তে হচ্ছে।

সব দিক বিবেচনা করে এ রুটে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ঈদের আগে যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে। কিন্তু ঈদের পর যাত্রী কমে গেলে আবারও রুটটি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এই ম্যানেজার।

সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানীর সত্ত্বাধিকার মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে যাত্রী হ্রাস পাওয়ায় লঞ্চের ব্যবসায় কিছুটা মন্দা যাচ্ছিল। তবে তাতে লোকশানে পড়তে হয়নি। কিন্তু দুই দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পুরো ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়ে।

ঝালকাঠি ঢাকা রুটে গেলো সপ্তাহে আমাদের পৌনে ২ লক্ষ টাকা লোকশান হয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে লঞ্চ বন্ধ রেখেছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.