The news is by your side.

তাঁদের সঙ্গেই কাজ করি, যাঁদের আমি পছন্দ করি: প্রিয়াঙ্কা

0 128

কোলে একরত্তি মেয়ে আর সঙ্গে স্বামীকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস। ছোট্ট মালতীর এই প্রথম নানির বাড়িতে আসা। আর এই সুযোগে মা প্রিয়াঙ্কা সারলেন তাঁর হলিউড ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল’–এর প্রচারণা।

মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে স্পাই-থ্রিলারধর্মী আন্তর্জাতিক ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল’ উপলক্ষে এক জমকালো পরিচিতি অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জানানো হয় অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাবে ‘সিটাডেল’। যেখানে প্রিয়াঙ্কাকে হলিউড তারকা রিচার্ড ম্যাডেনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অ্যাকশন করতে দেখা যাবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরিজের দুই মূল অভিনেতা। অনুষ্ঠানে অকপট কিছু কথা বললেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কা জানান, গত কয়েক বছরে প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাঁর রুচিতে কিছুটা বদল এসেছে।

প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে এখন আর তিনি কোনো বিষয়ের সঙ্গে সমঝোতা করতে চান না জানিয়ে বলেন, ‘আমি তাঁদের সঙ্গে আর কাজ করতে চাই না, যাঁদের আমি অপছন্দ করি। আর সেই সব প্রকল্পে সাইন করি, যাতে আমি কাজ করতে চাই। আর এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সমঝোতা করতে পারি না। এখন যে স্তরে আমি পৌঁছেছি, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমার আছে।’ এর কারণটাও ব্যাখ্যা করেন তিনি, ‘আমি এ ব্যাপারে সমঝোতা করতে চাই না। কারণ, আমি তাঁদের সঙ্গেই কাজ করি, যাঁদের আমি সম্মান করি। আমি তাঁদের থেকে শিখতে পারি, সময় কাটাতে পারি। কাজে যাওয়ার জন্য আমি মুখিয়ে থাকি, থাকতে চাই। আর তাই দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের সঙ্গেই কাজ করে আসছি, যাঁদের আমি পছন্দ করি।’

এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি বলিউডের একটি গোষ্ঠীর নোংরা রাজনীতি নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। আর এই গোষ্ঠী প্রিয়াঙ্কাকে নিশানা করে ক্রমেই তাঁকে কোণঠাসা করে দিচ্ছিল বলে তিনি জানিয়েছিলেন।

এতদিন পর বলিউডের এই অন্ধকার দিক কেন প্রকাশ্যে এনেছেন, জানতে চাইলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘পডকাস্টে সাক্ষাৎকারের সময় আমাকে আমার (জীবন) ভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমি কৈশোর, যৌবনসহ জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের কথা বলেছিলাম। তখনই সত্যটা তুলে ধরেছিলাম।

আর মনে করেছিলাম যে আমি আমার জীবনের সেই অধ্যায় বলার জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ওই সময়ে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছিল, বলিউড সম্পর্কে আমার যা অনুভূতি, তা স্পষ্টভাবে বলার অধিকার ও ক্ষমতা আমি রাখি। আর এখন আমি অন্তর থেকে ভালো বোধ করছি। তবে অনেক দিন আগেই আমি সবকিছু ক্ষমা করে এগিয়ে এসেছি। আর তাই সবকিছু খোলাখুলিভাবে বলা আমার জন্য আরও সহজ হয়ে গেছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.