ফিনল্যান্ডে কী ঘটছে সেদিকে ‘নিবিড়ভাবে নজর রাখবে’ রাশিয়া
ফিনল্যান্ড ৩১তম সদস্য হিসেবে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে
ফিনল্যান্ড ৩১তম সদস্য হিসেবে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে। দেশটির পতাকা উড়ছে ন্যাটোর সদর দপ্তরে। রাশিয়া এ ঘটনায় হুমকি দিয়ে বলেছে, তারা এর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মুখে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে জোট নিরপেক্ষ অবস্থান পাল্টে ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে ফিনল্যান্ড।
ন্যাটোর সদস্য দেশ হয়ে ফিনল্যান্ড নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি করেছে বলেই ভাষ্য রাশিয়ার। ন্যাটোতে ফিনল্যান্ডের যোগদানের ফলে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা সামরিক এই জোটটির সীমান্ত দ্বিগুণ হয়েছে। এতে করে ন্যাটোর পূর্বাঞ্চল আরও শক্তিশালী হবে।
রাশিয়া হুশিয়ার করে দিয়ে এও বলেছে যে, ন্যাটো তাদের ৩১তম সদস্য ফিনল্যান্ডে অতিরিক্ত সেনা ও হাতিয়ার পাঠালে মস্কোও ফিনল্যান্ডের কাছে সেনাশক্তি বাড়াবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সতর্ক করে বলেন, ফিনল্যান্ডে কী ঘটছে সেদিকে ‘নিবিড়ভাবে নজর রাখবে’ রাশিয়া। ন্যাটোর সম্প্রসারণ রাশিয়ার ‘জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তার লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেন তিনি। রাশিয়ার সঙ্গে পূর্বাঞ্চলে ১৩৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে ফিনল্যান্ডের। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করলে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া ফিনল্যান্ড ওই বছর মে মাসেই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গত মাসের শুরুর দিকে ফিনল্যান্ডের এ ব্যাপারে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার পর তুর্কি পার্লামেন্ট এই জোটে দেশটির অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন করে। মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডের আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যুক্ত হওয়া রাশিয়া এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য এক বড় ধাক্কা। পুতিন রাশিয়ার দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে বহুদিন থেকেই অভিযোগ করে এসেছেন এবং এর সম্প্রসারণ রাশিয়ার জন্য হুমকি–এ যুক্তি দেখিয়েই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেন। যদিও ন্যাটো বলছে, তারা রাশিয়ার জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি।
মঙ্গলবার ন্যাটো জোটের প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের বলেন, ফিনল্যান্ড সাহায্যের জন্য আবেদন না করা পর্যন্ত নর্ডিক এই দেশটিতে জোটের কোনো সেনা পাঠানো হবে না। কোনো দেশ ন্যাটোর সদস্য হলে এ জোটের আর্টিকেল ফাইভ এর সুরক্ষা পায়।
অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশের ওপর হামলা সব ন্যাটো সদস্যের ওপর হামলা বলে গণ্য হয়। ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হওয়ায় তারা এখন সেই সুরক্ষা পাবে। অর্থাৎ ফিনল্যান্ডে কোনো আগ্রাসন হলে বা দেশটি আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোর সব সদস্য দেশ ফিনল্যান্ডকে সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।