জন্ম থেকেই শরীরে দু’টি যোনি। একটি তাঁর স্বামীর জন্য এবং অন্যটি পেশার কাজে ব্যবহার করেন। বিরল এই শারীরিক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই পুরুষদের চাহিদা পূরণ করতেন তিনি। এমনই জানালেন অস্ট্রেলিয়ার এক
বছর ৩১-এর ইভলিন মিলার সমাজমাধ্যমে প্রভাবী। পর্নহাবে ওনলিফ্যান পেজের জনপ্রিয় মডেলও।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “এমন শারীরিক পরিস্থিতির জন্য যৌনতা নিয়ে আমার মনে নানা রকম ভয় কাজ করত। সঙ্গমের সময়ে পুরুষ সঙ্গীরা আমার এই সমস্যা নিয়ে খুব একটা চিন্তাও করতেন না। কিন্তু পুরুষাঙ্গের আঘাতে মূত্রনালি জখম হত বার বার। আমিও সঙ্গম করে কোনও সুখ পেতাম না। এমনকি, এই বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতেও লজ্জা করত।”
২০১১ সালে প্রথম চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ইভলিন প্রথম জানতে পারেন তিনি ‘ইউটেরাস ডিডেলফিস’ নামক বিরল একটি রোগে আক্রান্ত। ২০০০ জন মহিলার মধ্যে এক জনের শরীরে এমন বিরল রোগের সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান চিকিৎসকেরা। এই রোগে আক্রান্তদের শরীরে যোনি, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের সংখ্যাও দু’টি। তবে তা বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনও উপায় ছিল না।
প্রথম বার সঙ্গমের সময়ে ইভলিন টের পেয়েছিলেন তাঁর সমস্যার কথা। যদিও সমাজমাধ্যমে সে কথা জানাতে প্রথমটাই অস্বস্তিই হয়েছিল তাঁর। তবে ওনলিফ্যান প্ল্যাটফর্মই তাঁকে এই বিষয়ে অন্যদের সচেতন করার সুযোগ করে দিয়েছে।