চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের উন্নয়নবিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে তারা। যদিও সরকার চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট-২০২৩ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম অনেক বেশি জানিয়ে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায় সেক বলেন, বাংলাদেশ কোভিডের সময় ভালোভাবে সামাল দিতে পেরেছে। বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। সব কিছু মিলিয়ে চলতি অর্থবছর ৫.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি খারাপ অর্জন হবে না।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, পরের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। বিশ্বব্যাংক মনে করছে, মূল্যস্ফীতির চাপ কমে এলে মধ্য মেয়াদে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে।
যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে তার শিরোনাম হচ্ছে, স্ট্রং স্ট্রাকচারাল রিফর্মস ক্যান হেল্প বাংলাদেশ সাসটেইন গ্রোথ বা শক্তিশালী কাঠামোগত সংস্কার বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, কাঠামোগত সংস্কার, যেমন বাণিজ্য সংস্কার ও রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে। প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখার ক্ষেত্রেও তা সহায়ক।