উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সদস্যসচিব রহিমা কানিজ এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে আন্দোলনরতদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
হামলায় চার সাংবাদিকসহ ১৫-২০ জন আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার আন্দোলনকারীরা যখন উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন তখন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা সেখানে যান। তারা আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তুলে দিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে তারা বাসভবনে ঢুকতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এর কিছুক্ষণ পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ব্যানারবাহী একটি মিছিল সেখানে আসে। ওই মিছিলে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী ছিলেন। মিছিল থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা হয়। মিছিলকারীরা উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সেখান থেকে হটিয়ে দেন। তারপরে তাঁরা ওই জায়গায় অবস্থান নেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও তাঁর সমর্থক শিক্ষকদের নিয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম পুরোনো প্রশাসনিক ভবনে তাঁর নিজ কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, তারা তিন মাস থেকে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে কারা, কেন কিভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়। একটা মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে অসম্মান ও অপদস্থ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রমাণ ছাড়াই। যদি কোনো প্রমাণ থাকে, যদি প্রমাণ পায় তাহলে যা বিচার হবে তা মেনে নেব।