প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,খন্দকার মোশতাকের নীল নকশায় জেল হত্যা হয়। ওই হত্যায় জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। সে কারণেই খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় গিয়েই তাকে সেনাপ্রধান করেছিল।
তিনি বলেন, মোশতাকের পতন যখনই অনিবার্য হয়ে পড়লো, সাথে-সাথে ওই খুনিদেরকে একটি প্লেনে করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। প্রথমে তারা তাদেরকে ব্যাংককে নিয়ে যায়। সেখানে বসে তাদেরকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। তাদের ভিসার ব্যবস্থা করে কোন দেশে যাবে সেটাও ঠিক করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে কারা জড়িত, সেটাও কিন্তু ইতিহাসে আছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জেলহত্যা দিবসের এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সরকারের অপকর্মের কারণেই দেশে ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) জারি হয়েছিল। দেশি বিদেশি চাপ আসে; তারপর আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করি।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, একটা দল, যার চেয়ারপারসন এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় জেলে, এত নেতা থাকতে যে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তাকে বানাল ভারপ্রাপ্ত প্রধান। যারা বিএনপি করে তাদের মেরুদণ্ড আছে কিনা এটাই আমার সন্দেহ।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা এসেছি। বাবা-মায়ের কাছে শিখেছি দেশকে ভালোবাসতে মানুষকে ভালোবাসতে। দেশকে ভালোবাসলে দায়িত্ব পালন করা যায়। মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক বিস্ময়। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়বই।
জেলাহত্যা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সংসদ নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন হয়। তারা আইন করে দিয়ে যায় এ খুনের বিচার হবে না। ১৫ আগস্ট যারা জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত তারা এই হতায় জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। সেই বিচার বন্ধ করে দেয় জিয়াউর রহমান। যারা পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে চলে গিয়েছিল তাদের জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসায়। এটা স্বাধীনতাবিরোধীদের একটা চক্রান্ত।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির সরকার মেধাবী ছাত্রদের এক হাতের পুরস্কার আরেক হাতে অস্ত্র দিয়েছে। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। তারা নিজেদের ভাগ্যই গড়তেই ব্যস্ত ছিল।