The news is by your side.

রুচিশীল মানুষরা কেন সমাজের রুচি ফিরাতে পারছে না: হিরো আলম

0 133

হিরো আলমকে নিয়ে করা নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের মন্তব্যে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। এক প্রতিবেদনে বরেণ্য এই নাট্যব্যক্তিত্ব বলেছেন, রুচির দুর্ভিক্ষের কারণে সমাজে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের মতামতা জানিয়েছেন হিরো আলম।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেসবুক লাইভে হিরো আলম বলেন, ‘তার মতো এত বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। সে নেগেটিভ বলুক আর পজিটিভ বলুক। আমি তাকে সাধুবাদ জানাই তার মতো একজন লোক আমাকে চেনেন।’

মামুনুর রশীদকে পাল্টা জবাব দিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি নাকি দেশের রুচি নষ্ট করে ফেলছি, সমাজ নষ্ট করে ফেলছি। তাই যদি হয়, দেশে এত যে রুচিশীল মানুষ আছেন, তারা কেন সমাজের রুচি ফিরিয়ে আনতে পারছে না? আজ আমার জন্য কে দায়ী। আপনারা আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন। একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনার রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা। মানুষ আত্মহত্যা কখন করে জানেন? সবকিছুতে টর্চারিং করতেছেন। স্যার, আপনি আমাকে নিয়ে যে কথাবার্তা বলেছেন, অনেক আর্টিস্ট আপনার হাতে তৈরি। অনেক লোক আপনার হাতে তৈরি। স্যার আপনি ইচ্ছে করলে কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেননি। হিরো আলমের জন্য বাংলাদেশ নাকি নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করে, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না।’

হিরো আলম আরো বলেন, ‘আমার কী অপরাধ, কেন আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই? আপনার ছেলে যদি হতাম আমি। এভাবে বলতে পারতেন কেউ। হিরো আলমের মামা খালু নাই, ওয়েট নাই। অনেক এমপি দেখছি- সমাজের, দেশের, মানুষের কথা বলে না। নিজেরা ব্যস্ত। কয়টা লোকের রুচি আছে, সংসদে যারা; তাদের কয়জনের লেখাপড়া আছে। ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের। আমি কি অপরাধ করেছি। আমি যদি রুচি নষ্ট করে থাকি, টিকটক দেখেন তো; কেন তাদের বন্ধ করতে পারতেছেন না। অন্যদের নিয়ে কথাবার্তা বলেন না। এসবের জন্য আমি যদি আত্মহত্যা করি; এর জন্য দায়ী থাকবেন রুচিসম্পন্ন মানুষেরা।’

গত রবিবার সংবাদমাধ্যমে ‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশিদের করা মন্তব্য তুলে ধরা হয় ওই প্রতিবেদনে।তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.