The news is by your side.

অস্ট্রেলিয়ার ‘পুলিশ রিপোর্টে’ শাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ!

0 117

 

সম্প্রতি চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সমিতিতে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ।

রহমত উল্লাহর অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার দৃশ্যধারণের সময় এক নারী সহপ্রযোজককে ‘ধর্ষণ’ করেন শাকিব খান। এরপর তিনি দেশে পালিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সেন্ট জর্জ পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা হয়। সেই মামলার প্রতিবেদনে বাদীর কেসের ধরনকে ‘যৌন নিগ্রহ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদীর নাম অ্যানি সাবরিন। সাক্ষী প্রযোজক রহমত উল্লাহ; যাকে ভিকটিম অ্যানির ‘আঙ্কেল’ উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম ম্যাথিউ জন ক্রুকসন।

২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে নভোটেল দ্য গ্র্যান্ড প্যারেড অ্যাপার্টমেন্ট ৭২১ ব্রাইটন লা স্যান্ডস হোটেল কক্ষে রাত ২টা থেকে ৪টার মধ্যে শাকিব খান ভিকটিমকে ‘যৌন নিগ্রহ’ করেন।

এছাড়া দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের সময় শাকিব মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শাকিব খান রানা একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা। ভুক্তভোগী অ্যানি সাবরিন তার আঙ্কেল রহমত উল্লাহর ফিল্ম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে প্রডিউসার হিসেবে কাজ করেন। সাবরিন ও রহমত উল্লাহ বাংলাদেশি সিনেমার কাজ শুরু করেন। যার শুটিং অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় শাকিব খানের সঙ্গে অ্যানি সাবরিনের প্রথম দেখা হয় ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া শাকিব খানের নিয়মিত ট্রান্সপোর্ট, হোটেল, খাওয়া-দাওয়া ও যাবতীয় বিষয়াদি দেখাশোনা করেন অ্যানি।

মামলার সাক্ষী হিসেবে রহমত উল্লাহ ওই দিনের ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাও যুক্ত করা হয়েছে প্রতিবেদনের সঙ্গে।

সেখানে রহমত উল্লাহ জানান, ভিকটিম অ্যানি তাকে বলেছেন- ‘রানা (শাকিব খান) জোর করে মলদ্বার দিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। সে আমার বাহু ও পা ধরে টানাহেঁচড়া করে। এতে আমার রক্তক্ষরণ হয়’।

এ বিষয়ে শাকিব খানের বক্তব্য জানতে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.