The news is by your side.

নীল ছবিতে পা রেখেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় ব্রিটিশ তরুণীর

0 300

 

দেখতে নায়িকার মতোই। চেহারার এই গড়নের জেরেই ভাগ্য খুলে গেল এই তরুণীর। একটা সময় কফি-রেস্তরাঁয় কাজ করতেন। ভ্যানও চালাতেন। সেই তিনিই কিনা হয়ে গেলেন নীল ছবির ওয়েবসাইটের তারকা!

নিজের মুখাবয়বের জোরেই ইংল্যান্ডের এক্সেটরের বাসিন্দা ২৫ বছরের টেরল রায়ান এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালকিন। তবে ৫ বছর আগেও তাঁর এই অবস্থা ছিল না।

একটি কফি-রেস্তরাঁয় কাজ করতেন ওই ব্রিটিশ তরুণী। ভ্যানচালক হিসাবেও কাজ করতেন। কিন্তু সেই কাজ ছেড়ে দেন তিনি। আর তার পর যে কাজ তিনি বেছে নেন, তাতেই তাঁর ভাগ্য খুলে যায়।

সৌন্দর্যের জন্য বরাবরই বন্ধুমহলে বাড়তি গুরুত্ব পান টেলর। তাঁকে নাকি দেখতে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেগান ফক্সের মতো।

টেলরকে মেগানের ‘লুক অ্যালাইক’ বলে ডাকেন তাঁর বন্ধুরা। এই উপমা অবশ্য বেশ পছন্দও করতেন ওই তরুণী। বন্ধুদের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মেগানকে অনুকরণ করতে শুরু করেন টেলর।

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর মতো তাঁকে দেখতে— এই প্রশংসা শুনে মজাই পেতেন টেলর। তাঁর কথায়, ‘‘এটা খুবই মজার যে, লোকেরা আমায় মেগানের লুক অ্যালাইক বলেন।’’

টেলরের কিছু টিকটক ভিডিয়োও সাড়া ফেলে। সেখানেও টেলরকে দেখে অনেকে মেগানের ‘লুক অ্যালাইক’ বলে মন্তব্য করেন। এ সব দেখে নিজেকে মেগান হিসাবে আরও তুলে ধরতে নিজের চেহারা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে শুরু করেন টেলর।

মেগানের মতো চুল, চোখের রূপটান করতে শুরু করেন টেলর। এই সময়ই তিনি একটি পর্ন ওয়েবসাইটে ভিডিয়ো পোস্ট করা শুরু করেন। আর তাতেই আসে সাফল্য।

অন্তর্বাস এবং ডেনিম হটপ্যান্ট পরে গাড়ির বনেট খুলছেন টেলর— ২০০৭ সালে জনপ্রিয় সিনেমা ‘ট্রান্সফর্মার’-এর এক দৃশ্যের আদলে এ ভাবে টেলরের ছবি তুলেছিলেন তাঁর এক ভক্ত। এ জন্য ২৫০ পাউন্ড পান টেলর।

এর পর থেকে মেগানের মতো পোশাক পরতে শুরু করেন টেলর। তাঁর এই মেগান হয়ে ওঠার যাত্রাপথের দৌলতেই বাড়তে শুরু করে ব্যাঙ্ক ব্যালান্স।

নীল ছবির দুনিয়ায় পা রেখে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন টেলর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই তিনি পারিশ্রমিক হিসাবে পেয়েছেন ২৫ হাজার পাউন্ড, ভারতীয় মুদ্রায় যা সাড়ে ২৪ লক্ষ টাকা।

তবে এই কাজ যে মোটেই সহজ নয়, সে কথাও জানিয়েছেন টেলর। দিনে ৯ ঘণ্টা কাজ করেন। এমনকি, অনেক সময় তাঁকে মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়।

পেশা হিসাবে তাঁর কোনও ছুঁৎমার্গ নেই। পরিবার, বন্ধুবান্ধবের কাছে নিজের পেশা সম্পর্কে বরাবরই অকপট টেলর। তাঁর কথায়, ‘‘সকলেই জানেন সবটা। সকলেই পাশে রয়েছেন।’’

নীল ছবির দুনিয়ার প্রতি টেলরের আকর্ষণ কিশোরীবেলা থেকেই। যখন তাঁর ১৬ বছর বয়স ছিল, সেই সময় ‘প্লেবয় প্রাসাদ’ (প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা হিউ হেফনারের বাড়ি) দেখার ইচ্ছা ছিল তাঁর।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.