সুকেশ চন্দ্রশেখর যিনি বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন আর্থিক প্রতারণার মামলায়, রিপোর্ট একসময় ‘প্রেম-সম্পর্কে’ ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে। অভিনেত্রীর তরফে এই খবরে ‘হ্যাঁ বা না’ জানানো না-হলেও, সুকেশ কোনও সুযোগই ছাড়েন না ভালোবাসা জাহির করার। এর আগে ভ্যালেন্টািন্স ডে-র শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সুন্দরী প্রেমিকাকে, এবার জানালেন হোলির শুভেচ্ছা।
মজার বিষয় হল চন্দ্রশেখরের চিঠিতে মিডিয়া, তাঁর পরিবার, সমর্থক এবং ‘বিদ্বেষীদের’-ও সম্বোধন করা হয়েছে, তাঁদের হোলির শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে এবং ‘তাঁর সংস্করণ প্রকাশ’ করার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
নিজের চিঠিতে এরপর তিনি ফার্নান্দেজের উল্লেখ করেন। ‘আমি সবচেয়ে চমৎকার মানুষ, আশ্চর্যজনক, আমার চির-সুন্দর জ্যাকলিনকে হোলির শুভেচ্ছা জানাই।’
‘এই দিনে, রঙের উৎসবে, আমি আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যে রঙগুলি বিবর্ণ বা অদৃশ্য হয়ে গেছে সেগুলির ১০০ গুণ আপনার কাছে ফিরিয়ে দেব। এই বছর হবে সম্পূর্ণ উজ্জ্বলতায় ভরা, ঠিক আমার মতো করে। আমি এটা নিশ্চিত করব এবং এটা আমার দায়িত্ব।’ তাঁর চিঠিতে লেখা হয়েছে।
‘আমার বেবি গার্ল তুমি জানো তোমার জন্য আমি সবকিছু করতে পারি। আমি তোমাকে ভালোবাসি বেবি। হাসতে থাকো। তুমি তো ভালোই জানো আমার কাছে তোমার মূল্য কতখানি। ভালোবাসি তোমায় রাজকুমারী। খুব মিস করছি তোমায়। মাই বোম্মা, মাই লাভ।’, চিঠিতে আরও লেখেন সুকেশ।
এদিকে মাসখানেক আগেই জ্যাকলিনের তরফে আদালতে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, ‘সুকেশ আমাকে বিভ্রান্ত করেছে, আমার কেরিয়ার নষ্ট করেছে’। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, সুকেশ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন একজন সরকারি আধিকারিক হিসেবে। নিজের নাম বলেছিলেন শেখর। অভিনেত্রীর কথায়, ‘তিনি নিজেকে সান টিভির মালিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে জে জয়ললিতা তাঁর আত্মীয়। চন্দ্রশেখর বলেছিলেন তিনি আমার একজন অনুরাগী। এবং আমায় বুঝিয়েছিলেন আমার দক্ষিণ ভারতেও সিনেমা করা উচিত। নিজেকে সান টিভির মালিক পরিচয় দিয়েছিলেন। বলেছিলেন তাদের অনেকগুলি প্রকল্প রয়েছে। আমাদের দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করা উচিত।’