কখনোই চাইব না সন্তানের কোনো ক্ষতি হোক। আর আমার সঞ্চিত সব অর্থই আমার দুই সন্তানের জন্য।’
সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে টাইগারদের ইংলিশ বধ
ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭৫ । বল হাতে ১০ ওভারে ৩৫ রানে ৪ উইকেট। সাকিব-আল-হাসান আরেকবার প্রমান করলেন তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
আর তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স অবশেষে শেষ ম্যাচে টাইগারদের জয় এনে দিলো ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ৬২ রানের জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ এ সিরিজে ভাগ বসাল টাইগরাররা।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় খেলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকবাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২.৬ ওভারে দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় টাইগাররা।
মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে খেলায় ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটি দারুণ ব্যাটিং করেন তারা। ১২৮ বলে গড়েন ৯৮ রানের পার্টনারশিপ।
৭১ বলে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৩ রান করে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৯৩ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭০ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
শান্ত-মুশফিকের বিদায়ের পর রীতিমতো আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৮), আফিফ হোসেন (১৫), মেহেদি হাসান মিরাজ (৫) ও তাইজুল ইসলামরা (২)।
তবে ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সাকিব দলকে সম্মানজক স্কোর উপহার দিতে শেষ দিকে একাই লড়াই চালিয়ে যান। ৪৮.৪ ওভারে দলীয় ২৪৬ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন সাকিব। তার আগে ৭১ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৫ রান করেন।
সাকিব আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেই এলবিডব্লিউ হন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বিদায়ে ৪৮.৫ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের হয়ে জোফরা আর্চার তিন আর স্যাম কারান ও আদিল রশিদ দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
২৪৭ রানের টার্গেট তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করা দলটি এরপর মাত্র ১ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট।
সাকিব আল হাসানের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন ফিল সল্ট। ৮.৬ ওভারে দলীয় ৫৪ রানে আউট হন সল্ট। তার আগে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।
সাকিবের পর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন পেসার এবাদত হোসেন। তার শিকার হয়ে ফেরেন ডেভিড মালান। ২ বল খেলে রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মালান।
নিজের ঠিক পরের তথা তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাকিব ফেরান ইংল্যান্ডের আরেক ওপেনার জেসন রয়কে। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রয়। তার আগে ৩৩ বলে তিন চারে করেন ১৯ রান।
এরপর অনবদ্য ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন স্যাম কারান ও জেমস ভিন্স। তারা ৮১ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান মেহেদি হাসান মিরাজ।
মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দি