মেট্রোরেলের কারণে রাজধানীর কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন আট লেন পূর্বাচল সড়কটি ভাঙা হবে বলে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
‘উদ্বোধনের পরই ভাঙতে হবে হাজার কোটি টাকার সড়ক’ দেশের জাতীয় এক দৈনিক প্রকাশিত খবর নজরে আনলে সচিব বলেন, যেকোনো কাজ করতে গেলেই কিছু সমস্যা হয়। মেট্রোরেল নির্মাণে পূর্বাচল তিনশ ফিট (পূর্বাচল হাইওয়ে) রাস্তার তেমন ক্ষতি হবে না।
রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এমআরটি লাইন ফাইভের দ্বিতীয় স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কশপে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সেতু সচিব বলেন, ‘এমআরটি লাইন ওয়ান করতে পূর্বাচলবাসীর সামান্য কষ্ট হবে। তবে নতুন রাস্তা ভাঙতে হবে, সেই তথ্য সঠিক না। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যাপ্ত জায়গা রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে ওই সড়কের কোনো ক্ষতি হবে না।’
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, আপনারা দেখবেন রাজউক ৩০০ ফিট রাস্তার দুই দিকে লাইট লাগিয়েছে। কিন্তু রাস্তার মধ্যে (মাঝখানে) লাইট লাগানো হয়নি। এখন কি প্রশ্ন জাগে না, কেন লাইট লাগানো হয়নি? কারণ আমাদের মধ্যে সমন্বয় হয়েছে। মাঝ দিয়ে মেট্রোরেলের লাইন যাবে বিদায় লাইট লাগানো হয়নি। এটাই সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত। কারণ পৃথিবীর সব দেশেই রাস্তার মাঝে লাইট লাগানো হয়, যা এখানে লাগানো হয়নি।
গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম পাতাল রেলের (এমআরটি-১ লাইন) নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ওই রেলপথ হবে ভূগর্ভে। আর রূপগঞ্জের পীতলগঞ্জ থেকে জোয়ারসাহারা নতুনবাজার পর্যন্ত রেলপথটি হবে পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের মাঝের বিভাজক বরাবর ওপর দিয়ে তথা উড়ালপথ হিসেবে।
এদিকে দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক আট লেন পূর্বাচল সড়কটির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সড়কটি উদ্বোধনের লক্ষ্যে বাকি কাজ জোরেশোরে শেষ করার চেষ্টা করছে রাজউক।