দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যেই বলিউডেও নাম লিখিয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি সরব আছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। নিয়মিত ছবি কিংবা পোস্ট করে থাকেন।
আজ একুশে ফেব্রুয়ারী ৫২’র ভাষা শহীদদের স্মরন করে দীর্ঘ দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। স্ট্যাটস দুটো পাঠকের জন্য হুবহু প্রকাশ করা হলো।
প্রথম স্ট্যাটাসটিতে একটি ভিডিও বার্তায় দিয়ে লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবার অনলাইনে বাংলা ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে ইউনিকোডসহ, ‘ইউএন বাংলা’ ফন্ট ৭টি ভিন্ন রূপে প্রকাশ করেছে। এই প্রকাশ অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা দুত হিসেবে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। আমাদের মাতৃভাষার ব্যবহারে এই অভিনব আন্তর্জাতিক আঙ্গিক, নিশ্চিত ভাবেই বাংলা ভাষার গৌরব।
এরপর আবারও একটি স্ট্যাটাস লেখেন, ‘যে ভাষায় আমরা প্রতি মুহূর্তে বাঁচি, সেই বাংলা ভাষার দাবিকে রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার এই দিনটিকে শ্রদ্ধা জানাই। এই দিন কঠোর সংকল্পে নিজেকে জাগিয়ে তোলার দিন। বাংলা আমাদের ভাষা। আর এই ভাষার নামেই তো আমাদের স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। তবু এই ভাষাকে নিয়ে কত কিছু এখনো আমাদের করার বাকি রয়ে গেল। রাষ্ট্রে, সমাজে, শিক্ষায়। বাংলাকে নিয়ে আমাদের বহু পথ চলা এখনো বাকি। সে পথ আমরা সবাই মিলে নিশ্চয়ই পাড়ি দেব। একুশে এখন সারা পৃথিবীর নিপীড়িত, পর্যুদস্ত, মুমুর্ষু ভাষার অনুপ্রেরণাও।’
‘সেই অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বাংলাদেশের তরুণেরা, আজ থেকে একাত্তর বছর আগে। ভাবা যায়! পাহাড়ে আমাদের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের ভাষাগুলো ভালো নেই। পত্রিকায় পড়েছি, রেংমিটচ্য নামে একটি ভাষার মানুষ নাকি বেঁচে আছে মাত্র পাঁচ–ছয়জন। তাদের পর পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে একটি ভাষা। একটি ভাষা হারিয়ে যাওয়া মানে অনন্য একটি ফুলের বাগান উজাড় হয়ে যাওয়া, যা আর কখনোই ফিরে আসবে না। আমরা কি কোনোভাবেই একে টিকিয়ে রাখতে পারি না? নানা ভাষা পৃথিবীকে যে বিচিত্র রঙে রাঙিয়ে তুলেছে, সেটা পৃথিবীজোড়া মানুষের বৈচিত্র্যেরই রং। একুশেতে মানুষের এই রঙিন পৃথিবীকে সালাম জানাই।’