শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ভালোবেসে বিয়ে করলেও কয়েক বছরের মাথায় ভেঙে যায় শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সংসার। আব্রাহাম খান জয় নামের ছয় বছর বয়সী তাঁদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
সন্তানের বয়স যখন দুই বছর, তখনই তাঁদের বিচ্ছেদ। এরপর অপু বিশ্বাস বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাকিব খান ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে নানা ধরনের অভিযোগ করেন। বিচ্ছেদের ছয় বছরের মাথায় তাঁর উপলব্ধি হয়েছে, আবেগের বশবর্তী হয়ে সেসব বলেছিলেন।
অপু বিশ্বাস বলেছেন, ‘অনেক সময় এমন কিছু বলে ফেলি, পরে তা শুধরে নেওয়ার জায়গা থাকে না। আমি তো চাইলেও সেটা মুছতে পারব না। আসলে যখন কথাগুলো বলেছিলাম, ওদের প্রতি রাগ ছিল, আমি একটু অবসাদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি ওদের (শাকিব খান ও তাঁর পরিবার) কাছে ক্ষমা চাইতে চাই। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি খুব ভালো মানুষ। আমি ভাগ্যবান যে তাদের পেয়েছি, আমার জীবনে বাবা-মায়ের ঘাটতি পূরণ করেছেন তারা…।’
এদিকে ক্ষমা চাইলেও শাকিবের বাসায় যাতায়াত বেড়েছে অপু বিশ্বাসের। এ প্রসঙ্গে অপু বলেন, ‘আমার তো মা-বাবা নেই। শ্বশুর-শাশুড়িই এখন আমার মা-বাবা। তো বাবা-মায়ের বাসায় যাব না কেন? প্রায়ই যাওয়া হয় সেখানে। তারা আমাকে একেবারেই মেয়ের আদরে দেখেন। আমাকে খুব ভালোবাসেন তারা। আমার মা মারা যাওয়ার পর কাছের মানুষদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার বিষয়টি আমি নিজ থেকে বেশি অনুভব করেছি। এতে তাদের সঙ্গে সম্পর্কটা আরো গাঢ় হয়েছে আমার।’
অপু আরো বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি শাশুড়ির কাছে ফোন করে ইলিশ মাছ খেতে চেয়েছিলাম। মা বললেন, ঠিক আছে আমি রান্না করছি। একটু পর ফোন করে জানাও সঙ্গে কী দিয়ে রান্না করব।’ এরপর আমি ফোন রেখে ভুলে গেছি। হঠাৎই শাশুড়ির ফোন। ধমকের স্বরে বললেন, ‘এই মেয়ে, তুমি কী দিয়ে ইলিশ খাবে জানাতে বললাম, দেরি করছ কেন?’ এই হলো আমার শাশুড়ি। সত্য কথা বলি, আমার জীবনে ভুলভ্রান্তি হতে পারে, কিন্তু আমি একটা পর্যায়ে এসে বুঝেছি তারা কতটা ভালো মনের মানুষ। এখন কতটা আমাকে ভালোবাসেন তারা।’
শাকিবের ছোট বোন মনির সঙ্গেও অপুর মান-অভিমান ভেঙে আবার দুজনের বন্ধুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘সে আমাকে খুব ভালোবাসত, আমিও। কিন্তু মাঝে আমার আর শাকিবের ঘটনার কারণে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এখন আমাদের সেই পুরনো সম্পর্ক ফিরেছে। মনি আমার কাছে ঠিক বন্ধুর মতোই। মনি তো জানে আমি কী খেতে পছন্দ করি। মাঝেমধ্যে মনি সেই আইটেমের খাবার রান্না করে আমাকে ডেকে নেয়।’