বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তদন্ত কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ।
চার সদস্যের তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার বিকেলে কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট বশির আহমেদ উপাচার্যের কক্ষ ঢুকে উপাচার্যের একান্ত সচিব (১) মো. রাসেলকে লাঞ্ছিত করেন। মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও চিকিৎসক বশির আহমেদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে উপাচার্যের একান্ত সচিব মো. রাসেল বলেন, ওই চিকিৎসক (বশির আহমেদ) উপাচার্যের কক্ষে ঢুকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, বিশৃঙ্খলা করেছেন।
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, মো. রাসেলের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানুষকে হয়রানি করা, চিকিৎসকদের পদোন্নতির ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ তুলে ক্ষিপ্ত আচরণ করেন বশির আহমেদ।
২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়ে উপঢৌকন নিয়েও চাকরি না দেওয়ায় মো. রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এম আর মানুন।
এম আর মামুন কার্যালয়ে এসে একই অভিযোগ করেছেন। অবশ্য মো. রাসেল বলেছেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন আর না ঘটে, তার জন্য সুষ্ঠু তদন্ত আমরা করব। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ আমরা করব।’