২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ স্থাপনা পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটরস সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। মূল সেতুর সব পিলারের পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ ও ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩২টি পিলারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। চীন থেকে মাওয়ায় এখন পর্যন্ত ৩১টি স্প্যান এসেছে। এর মধ্যে ১৪টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে পিলারের ওপর। ১৫তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে ২৩-২৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া চারটি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ও ১০টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় আছে স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য মোট ২ হাজার ৯৫৯টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাবের প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৯১টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। নভেম্বর মাসের দিকে বাকি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হবে। ৩৬১টি স্ল্যাব ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে গার্ডার ও রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরায় ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৪৩৮টি সুপার ‘টি’ গার্ডার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ১৫৫টি গার্ডারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। রেলওয়ে ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৮৪টি ‘আই’ গার্ডারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই গার্ডারের মধ্যে জাজিরায় ৪২টি স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ২০১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নদীশাসনকাজের বাস্তব অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটার নদীশাসনকাজের মধ্যে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে।
দ্রুত কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের জুনের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে চাই। তবে পদ্মা নদী খুবই আনপ্রেডিক্টেবল (অননুমেয়)। একইসঙ্গে নদীতে তীব্র স্রোত থাকে এবং প্রচুর পলি বহন করে। এতে করে পিয়ারে স্প্যান বসানো সম্ভব হয় না। সিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে।