গৌরাঙ্গ-ফ্লোরা লিভ-ইন: ফ্লোরার যৌনাঙ্গে লাথি মেরেছিলেন গৌরাঙ্গ!
গৌরাঙ্গর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে চাইলে পুলিশ তা নিতে চায়নি
ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স। নারীদের অধিকাংশ এর শিকার। এঁদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফ্লোরা সাইনি । একসময় প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোসিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিয়ের পর নৃশংস অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছিলেন ফ্লোরা। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
একসময় মুম্বইয়ে নিজের মায়ের সাথে থাকতেন ফ্লোরা। গৌরাঙ্গর সাথে তাঁর সম্পর্কের সূত্রপাত হওয়ার কিছুদিন পর তিনি ফ্লোরাকে লিভ-ইনে থাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। গৌরাঙ্গ চাইছিলেন, লিভ-ইন করে ফ্লোরা তাঁর ভালোবাসার প্রমাণ দিন।
মায়ের অমতে বাড়ি ছেড়ে গৌরাঙ্গর সাথে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন ফ্লোরা। ফলে তাঁর মা তাঁর কেরিয়ারকে দায়ী করেছিলেন। তাঁদের সম্পর্কের গোড়ায় গৌরাঙ্গ যথেষ্ট ভালো ব্যবহার করতেন।
এমনকি তিনি ফ্লোরার মা-বাবার প্রতিও যথেষ্ট শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন যা দেখে তাঁরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু লিভ-ইন-এ থাকার সময় গৌরাঙ্গর প্রকৃত রূপ ফ্লোরার সামনে আসে।
একসাথে থাকতে শুরু করার এক সপ্তাহের মধ্যে গৌরাঙ্গ মারধোর করতে শুরু করেন ফ্লোরাকে। অভিনেত্রী বুঝতে পারছিলেন না তাঁকে মারধোরের কারণ। মারধোর সহ্য করতে না পাড়ায় ফ্লোরার যৌনাঙ্গে লাথি মেরেছিলেন গৌরাঙ্গ।
এমনকি মেরে তাঁর মুখের চোয়াল ভেঙে দিয়েছিলেন প্রযোজক। ফ্লোরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি গৌরাঙ্গর বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন। কিন্তু গৌরাঙ্গ তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন। কারণ ফ্লোরার মা-বাবা তাঁর সাথে যোগাযোগ করে ফিরে আসতে বলেছিলেন।
মা-বাবার অমতে বাড়ি ছাড়ার কারণে ফ্লোরার লজ্জা করছিল তাঁদের কাছে ফিরে যেতে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হতে শুরু করে। ফ্লোরা কথা বলতে গেলেই তাঁকে মারধোর করতেন গৌরাঙ্গ। ফলে ফ্লোরা বাধ্য হয়েছিলেন মেনে নিতে, এটা তাঁর দোষ।
এক রাতে গৌরাঙ্গর মারধোরের প্রতিবাদ করে তাঁর ফ্ল্যাট ছেড়ে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ফ্লোরা। তিনি লিফটের কাছে যেতেই গৌরাঙ্গ বলেন, তিনি দশ পর্যন্ত গুনবেন। এর মধ্যে ফ্লোরা ফিরে না এলে তিনি ফ্লোরা ও তাঁর মা-বাবাকে খুন করবেন।
এরপর আরেক রাতে গৌরাঙ্গর মারের ফলে ফ্লোরার চোয়ালের হাড় ভেঙে যায়। সেই রাতেই নিজের বাবার ছবি হাতে নিয়ে দিব্যি কেটে গৌরাঙ্গ ফ্লোরাকে খুন করার কথা বলেন। এরপর তিনি বাবার ছবি রাখার জন্য অন্য ঘরে খেলে দ্রুত ওই ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে নিজের মায়ের কাছে চলে যান ফ্লোরা।
পরদিন সকালে মা-বাবাকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন ফ্লোরা। তাঁরা গৌরাঙ্গর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে চাইলে পুলিশ তা নিতে চায়নি।