দীঘি। ছোটবেলাতেই অভিনয় দিয়ে মাত করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শক হৃদয়। উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তের ড্রয়িংরুমে পৌঁছে গেছেন গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনের সুরেলা কণ্ঠ ও অভিব্যক্তি দিয়ে।
দীঘি এখন চলচ্চিত্রের নায়িকা। হয়তো আপনি মনে করছেন একজন দীঘির প্রাপ্তি অনেক কিছুই। যার কোনো অপূর্ণতাই নেই। ছোটবেলাতেই পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। ভাবতেই পারেন, বড় হয়ে সিনেমার নায়িকা হয়েছেন, আর কী অপূর্ণতা থাকতে পারে? হয়তো তাই। কিন্তু দীঘি কি মনে করেন তার জীবনের অন্যতম ইচ্ছেগুলো পূরণ হয়েছে?
মোটেও না। দীঘি তা মনে করেন না। বরং মনে করেন পূর্ণতার ওপর রং পড়ছে, পুরোপুরি পূর্ণতা পায়নি রঙিন ইচ্ছেগুলো।
সম্প্রতি একটি কাজের সূত্র ধরে দীঘি বললেন অবশ্য তার অপূর্ণতাগুলো একটু একটু করে রং পাচ্ছে। ফলে বলা যায় পূর্ণতার ডালে রং লাগছে।
‘শ্রাবণ জোছনা’ নামের একটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন দীঘি। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করলেন। এটা একটা অপূর্ণতা ছিল, সেটা পূরণ হলো। বিষয়টি নিয়ে বললেন, ‘জীবনে একটা অপূর্ণতা ছিল বা জীবনে যে জিনিসগুলো কখনো হয়নি, সেসব একটু একটু করে পূর্ণতা পাচ্ছে।’
‘শ্রাবণ জোছনা’ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। অনেকগুলো লোকেশনে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। ফরিদপুরে শুটিং করার সময় তাপমাত্রা নেমে যেত ৮-৯ ডিগ্রিতে, সেই ঠাণ্ডায় আমরা শুটিং করেছি।’
দীঘি বলেন, ‘সবাই কো-অপারেট করেছে বলেই এই সিনেমার শুটিং সম্পন্ন করেছি। সবাই আমার খেয়াল রেখেছে, আমি যেন ঠাণ্ডায় অসুস্থ হয়ে না যাই। তাই এটা খুব সুখকর একটা বিষয়। আনন্দময় সময়ের মধ্য দিয়ে সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে।’