ভারতে বিজেপি সমর্থকদের এনআরসি নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতারা। এমন মন্তব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, ‘শুধু এইটুকু আমাদের ছেলেদের ও যুব কর্মীদের বলব, আপনারা মানুষের ঘরে ঘরে যান। মানুষকে বলুন, মানুষকে বোঝান যে, মন দিয়ে বিজেপিটা করুন। এনআরসি-টেনারসি নিয়ে চিন্তা করার বিষয়টা আমাদের। আমরা বুঝে নেব। আপনাদের কেউ উচ্ছেদ করবে না। শুধু বিজেপিটা করুন।’
তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন একমাত্র বিজেপিই আপনাকে সুরক্ষিত ভারতবর্ষ দিতে পারে। একমাত্র বিজেপি আপনাকে সুরক্ষিত বাংলা দিতে পারে। একমাত্র বিজেপি আপনাকে সুরক্ষিত ওয়ার্ড দিতে পারে। একমাত্র বিজেপি আপনাকে সুরক্ষিত পরিবার এবং মাথার উপরে ছাদ দিতে পারে। তাই বিজেপি করতে হবে।’
তার এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলো। বামদলগুলো এনআরসির বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছে।
আগামী ১৯ থেকে ২৪ অক্টোবর সম্প্রীতি যাত্রা করতে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে সাধারণ মানুষকে এনআরসি নিয়ে অভয় দেয়া হবে বলে জানান দলটির নেতারা।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপি সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ভারতজুড়ে এনআরসির প্রস্তুতি চলছে।
অমিত শাহ বলেন, আমরা সারা ভারতে এনআরসি করতে চাই। তবে সেটা হতে হবে ত্রুটিহীন। এজন্য যত রকম প্রস্তুতি নেয়া দরকার আমরা তা নিচ্ছি।
এনআরসি নিয়ে সমালোচনা করায় কংগ্রেসের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। তারা বলেন, কংগ্রেস কখনও বিজেপিকে সমর্থন দেবে না, সেটা মাথায় রেখেই এগুচ্ছে দলটি।
বিজেপিশাসিত আসামে এনআরসিতে ১৯ লাখ মানুষের নাগরিকত্ব বাদ পড়ায় তাঁরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিজেপি’র কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি চালু করাসহ বার বার অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করার কথা বলায় পশ্চিমবঙ্গে ওই ইস্যুতে আশঙ্কা ও উদ্বেগ বেড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে বিজেপি করলে এনআরসি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ‘আপনাদের কেউ উচ্ছেদ করবে না’- বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা’র এমন মন্তব্যে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।