ইউক্রেনে সেনা আগ্রাসনের কারণ হিসেবে তিনি গোড়া থেকেই দাবি করেছেন, নব্য-নাৎসিদের ধ্বংস করতে এই যুদ্ধ। ‘হলোকস্ট রিমেমব্রান্স ডে’-তে ফের সে কথাই বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আজ থেকে ঠিক ৭৮ বছর আগে পোল্যান্ডে নাৎসি জার্মানির তৈরি করা আউশভিৎজ়-বির্কেনাউ কনসেনট্রেশন ক্যাম্প স্বাধীনতা পেয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মির হাত ধরে।
২৭ জানুয়ারিতে তাই ‘হলোকস্ট রিমেমব্রান্স ডে’ পালন করা হয়। হিটলারের ইহুদি বিদ্বেষের প্রসঙ্গ টেনে আজ পুতিন বলেন, ‘‘ইতিহাস ভুলে যাওয়ার জন্যই এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ইউক্রেনে নব্য-নাৎসিরা সাধারণ মানুষের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে, জাতিগত ভাবে দেশবাসীর একাংশকে নির্মূল করছে, শাস্তিযোগ্য কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী দুষ্টের দমনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’’ রাশিয়ার দাবি মানতে রাজি নয় ইউক্রেন এবং সে দেশের ইহুদি সম্প্রদায়।
হিটলারের সেনাকে হারিয়ে দিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। পুতিন জানান, হিটলারের বিরুদ্ধে সেই মহান বিজয় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। নাৎসিদের অপরাধ ও তাদের মারাত্মক আদর্শ যাতে ফের সক্রিয় হয়ে না ওঠে, তারই চেষ্টা। আউশভিৎজ় মিউজ়িয়াম অবশ্য এ বছর ‘হলোকস্ট রিমেমব্রান্স ডে’-তে রুশ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানায়নি।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত। নাৎসি ক্যাম্পগুলোতে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মি। সে জন্য এই দিনটিতে প্রতি বছর রুশ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। মিউজ়িয়ামের মুখপাত্র পিয়ত্র সইকি বলেন, ‘‘এই যুদ্ধের পরে সভ্য সমাজে ফিরতে রাশিয়ার দীর্ঘ সময় লাগবে। ওদের গভীর আত্ম-সমীক্ষা করা উচিত।’’
আজও রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে ইউক্রেনে। গত কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ নজরদারি দল জানিয়েছে, ইউক্রেনের জ়াপোরিজিয়ার পরমাণু কেন্দ্রের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ-র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, পরমাণু চুল্লির কাছাকাছি অঞ্চলে নিয়মিত বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে।