The news is by your side.

‘সুকেশ আমার আবেগ নিয়ে খেলেছে, আমার জীবনটা নরক বানিয়েছে’

0 111

ভারতের মানি লন্ডারিং মামলার আসামী সুকেশ চন্দ্রশেখর বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিনের জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, সুকেশ আমার আবেগ নিয়ে খেলেছে এবং আমার জীবনটাকে নরক বানিয়ে দিয়েছে। ও আমাকে ভুল পথে চালিত করে আমার ক্যারিয়ার, ‘আমার জীবনটাই তছনছ করে দিয়েছে।’

সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটে জ্যাকলিনের নাম রয়েছে। এ মামলা নিয়ে গত এক বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন জ্যাকুলিন। মামালায় জ্যাকুলিন জামিনে থাকলেও ভারতের বাইরে বের হতে পারছেন না তিনি। তাই   অসুস্থ বাবা-মাকে দেখতে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি মেলেনি।

এই মামালার বিষয় নিয়েই  সম্প্রতি দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে চমকপ্রদ বয়ান দিয়েছেন জ্যাকলিন। এ বিষয়ে ইন্ডিয়া টুডে  প্রতিবেদনে জানিয়েছে— কোর্টকে জ্যাকলিন বলেন, সুকেশ আমার আবেগ নিয়ে খেলেছে এবং আমার জীবনটাকে নরক বানিয়ে দিয়েছে।

জানা গেছে, পিঙ্কি ইরানি নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সুকেশের সঙ্গে পরিচয় হয় জ্যাকলিনের। তা উল্লেখ করে জ্যাকলিন বলেন, সুকেশ নিজেকে সান টিভির মালিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, তিনি তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার আত্মীয়। এ-ও বলেছিলেন, তিনি আমার একজন ভক্ত। আমাকে বুঝিয়েছিলেন আমার দক্ষিণ ভারতের সিনেমা করা উচিত। নিজেকে সান টিভির মালিক পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন, তাদের অনেকগুলো প্রকল্প রয়েছে। আমাদের দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করা উচিত।

জ্যাকুলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নিজের নাম বদলেছিলেন সুকেশ। নিজেকে শেখর নামে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। জ্যাকলিন বলেন, শেখর আমাকে ঠকিয়েছে। আমি যখন শেখরের বাস্তব জীবন জানতে পারি, তখনই জানতে পারি ওর আসল নাম সুকেশ; আড়ালের এসব বিষয় পুরোটাই জানতেন পিঙ্কি। কিন্তু ও ইচ্ছা করে এসব করেছে।

জেল থেকেও জ্যাকলিনকে ফোন করতেন সুকেশ। এ বিষয়ে আদালতকে জ্যাকলিন বলেন, প্রতিদিন সকালে শুটিং শুরুর আগে আমাকে কল বা ভিডিও কল করতেন সুকেশ। কখনো কখনো রাতে ঘুমানোর আগেও কল করতেন। দিনে অন্তত তিনবার ফোন করতেন। কিন্তু কখনো বলতেন না তিনি জেলে আছেন। ভিডিও কলে কথা বলার সময়ে তার ব্যাকগ্রাউন্ডে পর্দা থাকত, সোফায় বসে কথা বলতেন। যা দেখে বোঝার উপায় ছিল না।

জ্যাকলিন বলেন, ২০২১ সালের ৮ আগস্টের পর সুকেশের সঙ্গে আর কথা হয়নি। পরে জানতে পারি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের ছদ্মবেশ ধারণ করার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.