The news is by your side.

সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে রাশিয়া

0 166

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে বারবার বিপর্যয়ের কারণে সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে এসব পরিবর্তন আনা হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

প্রশাসনিক সংস্কারের পাশাপাশি রাশিয়ার নৌ, মহাকাশ এবং কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।

তিনি বলেন, “শুধুমাত্র সশস্ত্র বাহিনীর মূল কাঠামোগত উপাদানগুলোকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই রাষ্ট্রের সামরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাশিয়ান ফেডারেশনে যুক্ত হওয়া নতুন এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব।”

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে পশ্চিমারা যে ‘ছায়া যুদ্ধ’ চালাচ্ছে তার জন্যই সশস্ত্র বাহিনীতে এ বড় ধরনের পরিবর্তন দরকার হয়ে পড়েছে।

রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা রুখতে ইউক্রেনকে নিয়মিত অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। সম্প্রতি দেশটিকে অত্যাধুনিক ট্যাংকসহ আরও ভারি অস্ত্র দেওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে। এমন সময়ই রাশিয়ার দিক থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে ‘ঢেলে সাজানোর’ এ নতুন ঘোষণা এলো।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে গত ১১ মাসে সামরিক বাহিনীতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে রাশিয়া। আক্রমণের শুরুতে দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দখল করলেও পরে বেশ কয়েকটি এলাকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে রুশ বাহিনী। গত সপ্তাহে সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে ইউক্রেনে রুশ অভিযানের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনে বড় অঞ্চল দখল ও সশস্ত্র কর্মীর সংখ্যা ১৫ লক্ষে উন্নীত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র অভ্যন্তরীণ সমালোচনার মুখে রয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলে লবনখনির  শহর সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে এই শহরকে কেন্দ্র করেই রাশিয়া তাদের আক্রমণ চালাচ্ছিলো।

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.