বিশেষ প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন- এখনো এক বছর পরে। আপাতত রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়- কে হচ্ছেন বঙ্গভবনের পরবর্তী বাসিন্দা?
গণমাধ্যমে ঘুরে ফিরে অনেক নাম আসলেও আওয়ামী লীগের কোন সূত্রই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না – কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।
এ কথা নিশ্চিত যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবেন, তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। কথা হলো – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের তালিকায় কে বা কারা রয়েছেন?
ঘুরেফিরে যাদের নাম আসছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য আমির হোসেন আমু, ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
গণমাধ্যমে আলোচনায় না থাকলেও আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে- বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।
কে এই আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ?
আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রাক্তন আওয়ামী লীগ নেতা ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে হত্যা করেছিল। সেদিন তার মা, সহোদর এবং জ্যেষ্ঠ সন্তানকেও হত্যা করেছিলো ঘাতকরা। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে।
হাসানাত আবদুল্লাহ ১৯৭৩ সালে বরিশাল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভারও চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বরিশাল-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২৬ জুন ২০০০ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। হাসনাত আবদুল্লাহ ১৯৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ছিলেন।
৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে হাসনাত আবদুল্লাহ তৃতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহবায়ক মনোনীত হন, যা বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীর পদমর্যাদার।
বিদ্যার সমালোচনা করলেন কারিনা!
বলিউডের অনেক তারকাই নিজেদের কাজ দিয়ে সাড়া ফেলেছেন বক্স অফিসে। মাঝে আবার দীর্ঘদিন কাজহীনও ছিলেন তারা। সে সময় নিজের সঙ্গে মানানসই নয় এমন কাজও করেছেন অনেকে। তবে সে সব কাজের কোনোটি হয় বেশ ব্যবসা সফল হয়েছে। আবার অনেক ছবিই সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন।
এমনই একটি ছবি বিদ্যা বালান অভিনীত সিনেমা ‘ডার্টি পিকচার’। সে সময় অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার জীবননির্ভর ছবিটি ব্যবসায়িক সাফল্য পেলেও ইতিবাচক-নেতিবাচক দুই ধরনের আলোচনাই দেখা গেছে সে সময়। যার ধারাবাহিকতা এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
আর এই ছবিকে কেন্দ্র করেই বিদ্যা বালানের সমালোচনা করেছেন বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে নিজের স্বামী সাইফ আলী খান সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিদ্যার সেই ছবিটির প্রসঙ্গ টানেন তিনি।
কারিনা বলেন, বিদ্যা বালান ২০১১ সালের হিরো। আমি সাইফকে বেশ কয়েকবার একসঙ্গে বসে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবিটি দেখার কথা বলেছি। কিন্তু সে কিছুতেই রাজি হয়নি এটা দেখার জন্য। হয়তো সাইফ ভয় পাচ্ছিলেন, যে আমিও যদি ওই ধরনের করতে চাই। যদিও আমি এ ধরনের ঝুঁকি নিতে পারব কি-না সেটা জানি না।
তবে কারিনার এমন মন্তব্যে কেউ কেউ প্রশংসার আভাস পেলেও অনেকে বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন। তাদের দাবি, ওই ধরনের সিনেমা’ বলে বাজে ছবির দিকে ইঙ্গিত করেছেন কারিনা। কারণ, দীর্ঘদিন সাইফের সঙ্গে বিদ্যার প্রেম নিয়ে মুখরোচক আলোচনা-সমালোচনা ছিল। তাই হয়ত আজও বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না কারিনা! যদিও নেটিজেনদের এমন সমালোচনাকে কোনো পাত্তাই দেননি এই অভিনেত্রী।
নীতি সুদহার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ঋণে সুদহারের ৯ শতাংশ সীমা অপরিবর্তিত রেখে নীতি সুদহার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে পুনঃক্রয় চুক্তি বা রেপোর বিপরীতে ৬ শতাংশ সুদে ধার নিতে হবে, যা এতোদিন ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। একইভাবে বিপরীত পুনঃক্রয় চুক্তি বা রিভার্স রেপোর সুদহার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর ধারের সুদহার বাড়বে। সামগ্রিক বিবেচনায় এবারের মুদ্রানীতিকে সতর্কমূলক বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে আগামী ৬ মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আগের মতোই ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর মুদ্রা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশে নামানো হয়েছে।