ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হালনাগাদের পূর্বে দেশে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। হালনাগাদ কার্যক্রমে আরও ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
ইসি সচিব বলেন, হালনাগাদ কার্যক্রমে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন মৃত ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এদের মধ্যে ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন নারী এবং ৮৩৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান।
এ ক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদনের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মার্চ।
সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি উপজেলা/থানার ভোটার এলাকার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার/উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সিটি কর্পোরেশন ও ফ্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসার/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কতিপয় বিশেষ এলাকার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)-কে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ (রিভাইজিং অথরিটি) নিয়োগ করা হয়েছে।
এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। তার মধ্যে ২০০৯-২০১০ সালে প্রথম, ২০১২-২০১৩ সালে দ্বিতীয়, ২০১৫-২০১৬ সালে তৃতীয়, ২০১৭-২০১৮ সালে চতুর্থ এবং ২০১৯-২০২০ সালে পঞ্চম ও সর্বশেষ বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন ইসি।