তাপমাত্রা কমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আরও তীব্র হয়েছে শীত। বিস্তৃত হয়েছে শৈত্যপ্রবাহের আওতা। দেশের ২৬ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ।
আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস । বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে।
তবে আপাতত আর শীত বাড়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে শীত কমতে পারে। এতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দূর হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। একই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলে দু-তিন দিনের মধ্যে হালকা বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একদিনের ব্যবধানে ঢাকায়ও তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। ঢাকায় ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষকে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসান বলেন, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শীতের তীব্রতা খুব বেশি অনুভূত হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।