এক মাস কারাবন্দি থাকার পর উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্ত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার বিকাল ৫টা ৫৫মিনিটে কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দলটির এ শীর্ষ দুই নেতা বেরিয়ে আসেন। গত ৮ ডিসেম্বর তাদের ঢাকার বাসা থেকে আটক করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিন জামিনে তাদের ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বিকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে ভিড় করেন। দুই নেতা বেরিয়ে এলে করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান তারা। সেখানে বিভিন্ন স্লোগানও দিতে দেখা যায় তাদের।
কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে এসে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে আটকে রেখে আন্দোলন বন্ধ করে রাখা যাবে না। অবিলম্বে সব নেতাকর্মীর মুক্তি দিতে হবে। নইলে এ সরকারকে এজন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন গতকাল রোববার বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। তাঁদের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাঁদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্নিষ্টদের প্রতি রুল জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে ৪ জানুয়ারি চেম্বার আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিপক্ষকে নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করতে নিষেধ করা হয়।
ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ‘পুলিশের ওপর হামলায়’ দলীয় নেতাকর্মীকে ‘উস্কানি’ দেওয়ার মামলায় এই দুই বিএনপি নেতাসহ ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।