গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে হঠাৎ তাঁর ফেসবুক আইডিতে রাজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে স্ট্যাটাস দেন পরীমনি। এর আগে রাত সাড়ে আটটায় সন্তান রাজ্যকে নিয়ে বসুন্ধরার বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর গতকাল রোববার আরও দুটি ফেসবুক পোস্ট করেন পরী।
এসব স্ট্যাটাসেপরীমণি তার স্বামী শরিফুল রাজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। মূল অভিযোগ হলো, রাজ তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন, তাকে একাধিকবার মারধরও করেছেন। এছাড়া পরীমণি বলেছেন, ‘রাজ এখন আমার প্রাক্তন। রাজকে আমি ছুটি দিলাম।’
গত কয়েকদিনে স্বামী রাজকে নিয়ে পরীমণি ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট দিয়ে তাকে ‘কাঠগড়ায়’ দাঁড় করালেও রাজ থেকেছেন নিশ্চুপ। এবার রাজ এ বিষয়ে মুখ খুললেন।
সোমবার বললেন, ‘চুপচাপ থাকতে চাই। পরীর এসব আমি আটকাতে বা থামাতেও চাই না। পরীর সবকিছু করার ও বলার অধিকার আছে। পরী যা করছে বা তার মন যা চায় করুক, হয়তো তার সে অধিকার আছে।’
তবে রাজ চুপ থাকতে চাইলেও পরীর সঙ্গে সম্পর্ক যে আর টিকছে না সেটি স্পষ্ট করেন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক জোড়া লাগবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে রাজ বলেন, ‘না, আর হবে না।’
বছরের প্রথম দিনই পরীমণি ফেসবুকে রাজের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজ এড়িয়ে যান। তবে শুধু বলেন, ‘আমি এখন চুপচাপ আছি, কিছু বলতে চাইছি না। এই পরিস্থিতিতে আমার এখন একা থাকা দরকার। পরে এসব ব্যাপারে কথা বলব।’
ফেসবুকে পরীমনির পোস্ট করা ছবি ও স্ট্যাটাসকে ইঙ্গিত করে রাজ বলেন, “মাই বেডরুম ইজ প্রাইভেট, ভেরি প্রাইভেট। নট ফর পাবলিক। বাট আমার বেডরুম নিয়ে সবাই মজা নেয়, নিচ্ছে।”
এর আগে রাজ-পরীর সাংসারিক সংকট নিয়ে নানা তথ্য সামনে এলেও বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে তেমন কোনো ইঙ্গিত ছিল না। তবে গত ৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে রাজ-পরী দম্পতির বিচ্ছেদের কথা ছড়াতে থাকে।