‘বয়কট রাধিকা’ হ্যাশট্যাগে ভরে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। বলিউড অভিনেত্রীকে বয়কটের ডাক রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয়। ২০১৫-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পার্চড’ ছবির কিছু দৃশ্যে চিত্রনাট্যের স্বার্থেই নগ্ন হয়েছিলেন রাধিকা। আদিল হুসেনের সঙ্গে সে সব দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন। সে কারণেই রাধিকাকে বয়কটের দাবি ওঠে। আর সেই দাবিকে সম্পূর্ণ হাস্যকর বলে ব্যখ্যা করলেন আদিল।
সংবাদমাধ্যমে আদিল বলেন, “আমি কয়েকদিন আগে ব্যাপারটা জানতে পেরেছি। গুগল অ্যালার্ট পেলাম। সেখান থেকে জানলাম। আমার তো মনে হয়, রাধিকাকে ট্রোল করা বা ওই ছবির কিছু দৃশ্য নিয়ে এ হেন আলোচনা হাস্যকর। আমি এ সব ব্যাপারে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। আমার তো মনে হয়, এ সব ব্যাপারে সাড়া দেওয়ার একমাত্র উপায় হল সাড়া না দেওয়া।”
আদিল মনে করেন, যাঁরা এ হেন ট্রোল করেন তাঁরা পর্ন এবং শিল্পের পার্থক্য বোঝেন না। জীবনের শিক্ষা, শিল্পের শিক্ষা তাঁদের পাওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “আমাদের পড়াশোনার ব্যবস্থাটা অনেকটাই চাকরি পাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা পিছনে পড়ে থাকে। ব্রিটিশ আমলে শিক্ষাব্যবস্থা ছিল কর্মীদের যন্ত্রে পরিণত করার শিক্ষা। ব্রিটিশদের যন্ত্র। এখনও সেটাই চলছে। আমি আশা করব ভারত সরকার খুব তাড়াতাড়ি হয়তো এর বদল ঘটাবে।”
ওই দৃশ্যের শুটিংয়ের আগে রাধিকার সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছিল, তাও দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে জানান আদিল। তিনি বলেন, “রাধিকাকে আমি জিজ্ঞাসা করি, এই দৃশ্যে অভিনয়ের ব্যাপারে ওর বয়ফ্রেন্ডের প্রতিক্রিয়া কী? ও আমাকে উত্তর দেয়, ‘আমি বিবাহিত’।”
রাধিকাও পাল্টা আদিলকে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁর স্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে…আদিল উত্তর দেন, “কোনও সমস্যা নেই।”
চরিত্রের প্রয়োজনে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় যে সত্যিই আদিল এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পর্কে সমস্যা হয়ে দেখা দেয়নি সে কথাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে আদিল বলেন, “আমার স্ত্রী আমার পেশাকে সম্মান করেন। আমার আচার-ব্যভারের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। থিয়েটার যখন করতাম তবে থেকে দু’জন দু’জনকে চিনি। ও জানে আমি কেন একজন অভিনেতা…।”