ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারকে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট সরবরাহ করেছে উত্তর কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে নিন্দা জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। ওয়াশিংটনের দাবিকে অস্বীকার করেছে ওয়াগনারও।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, পিয়ংইয়ং ওয়াগনার গ্রুপের কাছে অস্ত্রের একটি চালান পাঠিয়েছে। যা ইউক্রেনে সামরিক অপারেশনের জন্য ব্যবহার হবে।
‘আমরা নিশ্চিত উত্তর কোরিয়া ওয়াগনারের কাছে অস্ত্রের একটি প্রাথমিক সরবরাহ সম্পন্ন করেছে, এসব সরঞ্জামের জন্য অর্থও দিয়েছে তারা’।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার কারণে উত্তর কোরিয়ার ওপর অস্ত্র রফতানির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জাতিসংঘের। এর মধ্যেও একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে যাচ্ছে এশিয়ার এই দেশটি। এর মধ্যে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি সামনে এলো।
যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইউক্রেনে ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রায় ৫০ হাজার কর্মী রয়েছে। যার মধ্যে ১০ হাজার ঠিকাদার এবং ৪০ হাজার রাশিয়ায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ওয়াগনারের ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে বাইডেন প্রশাসন।
প্রতিক্রিয়ায় উ. কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ডিপিআরকে এবং রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র লেনদেন ইস্যুতে পিয়ংইয়ং তার নীতিগত অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়াকে সহায়তার জন্য অস্ত্র পাঠানোর অভিযোগকে যুক্তরাষ্ট্রের গল্প বলে অভিহিত করেছেন ওয়াগনারের মালিক ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের গোষ্ঠীটির নাম ওয়াগনার গ্রুপ। ওয়াগনার গ্রুপকে প্রথম চিহ্ণিত করা হয়েছিল ২০১৪ সালে ইউক্রেনে। সেখানে তারা পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিচ্ছিল। তবে এর বাইরে সিরিয়া, মোজাম্বিক, সুদান ও সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকেও তারা বিভিন্ন তৎপরতায় জড়িত। পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি ক্রেমলিনের হয়ে কাজ করছে এই ভাড়াটে গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা।