জাভেদ, জেলখানার গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন । পরনে সাদা অন্তর্বাস। তবে চোখ যেতে বাধ্য অন্য দিকে। উরফির হাবেভাবে বিদ্রোহের আভাস। চোখে আগুন জ্বলছে যেন। গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে ক্যামেরায় তাকিয়ে বললেন, ‘‘গোটা দেশ আমায় যে ভাবে দেখতে চায়!’’
পরের দৃশ্যে সরস ব্যঙ্গে স্পষ্ট করলেন মডেল-তারকা, ‘‘না, আমার মিষ্টি মুখটার কথা বলছি না।’’
তার পরই পশ্চিমি র্যাপ গানে ঠোঁট মেলালেন উরফি। সে গানের বিষয়বস্তুতে সারা পৃথিবীর নীতিপুলিশির প্রতি তাচ্ছিল্য, স্বাধীনতা, স্বাধিকার ঘোষণা। সেই মূর্তিতে উরফি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, দেশবাসী তাঁকে যতই ঘৃণা করুক, তিনি চলবেন নিজের মতেই। জানালেন, এত সহজে তাঁকে গারদে ঢোকানো সম্ভব নয়। ভিডিয়োতে ব্যবহৃত জেলখানার গরাদ নিছকই সাজানো।
দুবাইতে বেড়াতে গিয়ে তাঁকে পুলিশে ধরেছে? ‘‘বেশ হয়েছে! উচিত শিক্ষা!’’ উরফির সাম্প্রতিক কীর্তি নিয়ে নিন্দকদের এমনই মত শোনা যাচ্ছিল দু’দিন ধরে। রটেছিল, স্বল্প পোশাকে রাস্তায় ঘুরছিলেন সেখানে গিয়েও, তারই পরিণাম। নিন্দকরা বলেছিলেন, ‘‘সে দেশে গিয়ে কি আর পার পাবেন? ভারতে যা খুশি করা যায়, তাই এত বাড় বেড়েছেন।’’
তবে উরফির দাবি, আসল ঘটনা ছিল অন্য। সমস্যার সূত্রপাত পোশাক নিয়ে নয়, শুটিং স্পট নিয়ে। দুবাইতে এক জায়গায় শুটিংয়ের কাজ চলাকালীন পুলিশ এসেছিল। উরফি এবং তাঁর দলকে বলা হয়েছিল, যে জায়গায় ওই ভিডিয়ো শুট করা হচ্ছিল সেটি সর্বসাধারণের ব্যবহারের জায়গা।
এর পর অবশ্য কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া হয়, এমনই জানান প্রাক্তন ‘বিগ বস’ তারকা।
বেশ কিছু দিন ধরেই দুবাইতে রয়েছেন উরফি। বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতেই মরুদেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। সেখানে কখনও সমুদ্রসৈকতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে, কখনও আবার নিশিযাপনের নানা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সোমবারই জানা যায়, দুবাইতে গিয়ে উরফির অসুস্থতার কথা। তার পরই পুলিশের হানা। রটেছিল, নিজের বানানো একটি পোশাক পরে রিল ভিডিয়ো শুট করছিলেন। তাতেই আপত্তি জানায় পুলিশ।