The news is by your side.

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে কারণে বৈঠকে বসেন পুতিন  

0 203

রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে শুক্রবার বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রুশ বাহিনী। ওই দিনই তিনি জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক শহরের বিদ্যুৎ অবকাঠামোয় ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের দাবি, প্রায় ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে শত্রুপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোয় হামলায় অন্ধকারে ডুবে যায় দেশটির অনেক জায়গা। লাখ লাখ মানুষকে অন্ধকারে কাটাতে হয়। কিয়েভের দাবি, রবিবারও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা সম্ভব হয়নি। তবে পরিস্থিতি উত্তরণে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এমন পরিস্থিতিতের মধ্যেই ক্রেমলিন জানিয়েছে, শুক্রবার দিনের অধিকাংশ সময় ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ দপ্তরে ছিলেন পুতিন। ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে ক্রেমলিন। বৈঠকে এক ফুটেজে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগো এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরোসিমভের পাশে দেখা গেছে।

ক্রেমলিনের নেতা পুতিনকে তার সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলতে দেখা গেছে, আমরা অবিলম্বে মধ্য-মেয়াদে যুদ্ধের কী কৌশল নেবো, সে বিষয়ে আমি আপনাদের প্রস্তাব জানতে চাই।

প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রাষ্ট্রীয় টিভিতে সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা প্রতিটি অপারেশনাল দিক নির্দেশনাতে কমান্ডারদের কথা শুনবো এবং আমি আমাদের তাৎক্ষণিক এবং মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপের বিষয়ে আপনাদের প্রস্তাবগুলো শুনতে চাই।’

ইউক্রেন ও পশ্চিমা নেতারা জোর দিয়ে বলছে, নতুন বছরের শুরুতেই কিয়েভকে টার্গেট করে গত ফেব্রুয়ারির মতো বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে মস্কো। এজন্য ২ লাখ সেনাও প্রস্তুত করছে দেশটি। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলেনি ক্রেমলিন।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার মস্কোর মিত্র বেলারুশের রাজধানী মিনস্ক সফরে যেতে পারেন পুতিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.