অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার। বৈশ্বিক অবস্থায় এই রিজার্ভের পরিমাণ সন্তোষজনক এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
শুক্রবার বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৭ বিলিয়ন ডলার। ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে আমরা সেটা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করি।
তিনি বলেন, আজকে বিশ্বে যে সংঘাত সে কারণে আমাদের বর্তমান রিজার্ভ এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটাও তুলনামূলক অনেক বেশি। যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা এখন দাঁড়িয়ে আছি ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশের কাতারে। গত ১৪ বছর বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিখরে উঠার গল্প, যা রূপকথার গল্পগাঁথাকেও হার মানায়। এ সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আপনাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি দেশের অর্থনীতির পরিমাপ করা হয় জিডিপি দিয়ে। যে দেশের জিডিপি যতো বেশি, অর্থনীতির এলাকায় সে দেশ তত বেশি শক্তিশালী। ২০০৮ সালে আমাদের জিডিপি’র আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে মাত্র ১৪ বছরে সাড়ে চার গুণ বেড়ে আজ জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ থেকে ২০১৯, দশ বছরে বাংলাদেশ ১৮৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সারা বিশ্বে ১ম স্থান অর্জন করে। অর্থনীতির এলাকায় অগ্রগতির আরেকটি পরিমাপক হলো মাথাপিছু জাতীয় আয়। আমাদের মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে ৪ গুণ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ ডলার। গত ১৪ বছরে প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫ লাখ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। রেমিট্যান্স আয় ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে চার গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার।
মন্ত্রী বলেন, ৩৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ দিয়ে আমরা প্রায় সাড়ে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মিটাতে পারবো। অর্থনীতির এলাকায় এই পরিমাপকগুলো বলে দিচ্ছে বৈদেশিক অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি একই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন, জসিম উদ্দিন, আলহাজ্ব ইলিয়াস মিয়া, সামসুদ্দিন কালু, নির্মল পাল, শাহিনুল ইসলাম শাহীন, কোহিনুর বেগম প্রমুখ।