এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, লিওনেল মেসি ও ভাউট বেগহোর্স্টের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে আলোচনায় ছিলেন আরও একজন—স্প্যানিশ রেফারি আন্তনিও মাতেও লাহজ। ম্যাচ রেফারি মাতেও লাহোজের কার্ড দেখানোর সংখ্যা আর ধরণ দেখলে যে কারো মনে হতেই পারে মাঠে কি আসলেই ফুটবল খেলা চলছে নাকি অন্যকিছু। পুরো ম্যাচে তিনি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নিয়ে অসন্তুষ্ট আর্জেন্টিনা।
আন্তনিও পুরো ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন ১৮টি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। ডাচ ও আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কার্ড দেখিয়েছেন সমান ৮টি করে। এমনকি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি ও সহকারী ওয়াল্টার স্যামুয়েলকেও।
কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে আর একটু হলে হয়তো মাঠের প্লেয়ারের সমান সংখ্যক ২২ জনকেই কার্ড দেখিনো হয়ে যেতো লাহোজের। সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে কাকে কার্ড দিতে বাদ রেখেছেন লাহোজ। ফাউল হোক না হোক, রেফারির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও আর্জেন্তাইন অধিনায়ক মেসিকে দেখতে হয়ছে হলুদ কার্ড।
এমন রেফারিংয়ের কারণে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। ধুয়ে দিয়েছেন এই স্প্যানিশ রেফারিকে, ‘রেফারি সম্পর্কে কথা বলতে চাই না। মানুষ দেখেছে কী হয়েছে। ফিফার এটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যে নিজের কাজটা ভালোভাবে জানে না, এত গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে তাকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত না। আমরা খুব একটা ভালো খেলিনি। সঙ্গে রেফারির কারণেই অতিরিক্ত সময়ে খেলা পৌঁছেছে। সে সব সময় আমাদের বিপক্ষে ছিল। এমনকি যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফিরেছে ওরা, সেটাও ফাউল ছিল না।’
ম্যাচ জেতার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মেসি বলেন, ‘অনেক আনন্দ, অনেক খুশি লাগছে। ম্যাচটা অতিরিক্ত সময় কিংবা পেনাল্টিতে যাওয়ারই কথা ছিল না। আমাদের ভুগতে হতো এরপর। কিন্তু আমরা বেরিয়ে এসেছি, যেটা দারুণ। ’
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে অতিমানব হয়ে উঠেছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। টাইব্রেকারে পেনাল্টি সেভ করে নায়ক বনে যাওয়া মার্তিনেজও মেসির সুরেই সুর মিলিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, সামনের ম্যাচগুলোতে এমন কোনো রেফারিকে দেখা যাবে না, ‘রেফারি ডি বক্সের সামনে কয়েকবার ফ্রি কিক দিয়েছেন। সে চেয়েছিল যেন নেদারল্যান্ডস গোল করে। আশা করছি, এ ধরনের রেফারি সামনে আর পাব না। সে একটা অপদার্থ।’