বড় অংকের অর্থ লেনদেনে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এ জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি পুলিশের সহযোগিতাও নিতে বলেছে সংস্থাটি।
শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, গত ১৩ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী কেরামত আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দড়িগাঁও বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাগে করে নগদ ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে পিকআপ যোগে আব্দুল্লাহপুরের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উদ্দেশে রওনা করে। পথে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত ব্যবসায়ী কেরামত আলীর গতিরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেরামত আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার ঘটনায় ঢাকা জেলা পুলিশ, র্যাব, পিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত করছিল ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।
এ ঘটনায় গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার সাভার থানার কাউন্দিয়া, পটুয়াখালী সদর থানা ও ঢাকা মহানগরীর কাজলা এলাকা থেকে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- সোহাগ মাঝি, মো. দেলোয়ার, মো. জয়নাল হোসেন, মো. সোহেল, মো. জনি এবং মো. আজিজ। তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা, একটি মাইক্রোবাস এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বরাতে হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তাররা ডাকাতি করার জন্য বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ডিবি পুলিশ, সিআইডি, র্যাবের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান করে। ব্যবসায়ীসহ আর্থিক লেনদেনকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। ডাকাতির কাজে তারা হ্যান্ডকাপ, ওয়্যারলেস ও খেলনা পিস্তল ব্যবহার করে বলে স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, ছিনতাইকারী অথবা ডাকাত চক্রের সোর্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও টাকা লেনদের ক্ষেত্রে আরও বেশি সর্তক হতে হবে।