The news is by your side.

আগামী দুই মাস কাগজ সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে

0 150

 

 

দেশে কাগজ সংকটের এই সময় পাঠ্যবই ছাপার জন্য প্রায় এক লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টন কাগজের চাহিদা রয়েছে সরকারের। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্কমুক্ত আমদানির অনুমতি চেয়েছে। তবে সরকার ডলার খরচ করে কাগজ আমদানি করতে দেবে না। দেশের কাগজ কলগুলোকে সরবারহ নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে না পারায় ‘অফসেট’ কাগজ বা উন্নত কাগজের জন্য ভার্জিন পাল্প আমদানি করতে পারছেন না কাগজ কল মালিকরা। তাই চাহিদামতো কাগজ সরবরাহও করতে পারছেন না তারা।

আম্বার পেপার মিল, লিপি পেপার মিল, টিকে পেপার মিল, মেঘনা পেপার মিল ও রশিদ পেপার মিল মালিকরা ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, টাকার মূল্যস্ফীতি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে তাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে বলে সরকারকে জানিয়েছেন।

দেশে কাগজের চাহিদা প্রায় ১০ লাখ টন। ২০১৪ সালের পর থেকে লেখা ও ছাপার কাগজের (আর্ট পেপার ছাড়া) চাহিদা মেটানো হতো দেশি কাগজ কল থেকে। তবে যদি উৎপাদন বাড়ানো না যায় তাহলে দেশব্যাপী কাগজ সংকট চরমে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন কাগজ কলের মালিকরা।

সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপতে প্রায় এক লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টন কাগজ লাগবে ডিসেম্বরের মধ্যে। ফলে আগামী দুই মাস কাগজ সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে।

বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআই পরিচালক শাফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, “মোটা কাগজ (আর্ট পেপার) যেটা ‘ডিউটি ফ্রি’ (শুল্কমুক্ত) আমদানি হয় সেটা আরএমজি (তৈরি পোশাক শিল্প) সেক্টরে ব্যবহার করা হয় রফতানির জন্য। আর ‘ডিউটি’সহ বাইরে যেটা আমদানি হয় সেটা খুবই সীমিত।  ‘ডিউটি ফ্রি’ যেটা আমদানি হয় সেটা কিছু মিস ইউজ হয়ে বাইরে বিক্রি হয়।  এখন যে সংকট সেটা ব্যাংক থেকে এলসি না পাওয়ার কারণে। যাদের ‘ডিউটি ফ্রি’ অনুমোদন আছে তারাও খুব বেশি এলসি করতে পারছে না। করোনার পর থেকে দেশের কয়েকজন বিগসর্ট নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো কাগজ নিয়ে ‘সিন্ডিকেট’র খেলা চালাচ্ছেন। এই ‘সিন্ডিকেট’র খেলা যেভাবে চলছে তাতে শতভাগ মার্জিন দিলেও এলসি দিচ্ছে না বাংকগুলো।”

আম্বার পেপার মিলস লিমিটেডের পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, “শিল্পটাই এমন এর শতভাগই  ‘র‘ ম্যাটেরিয়াল আমদানি করতে হয় (কর্ণফুলি পেপার মিল ছাড়া)। আর অল্প কিছু পেপার মিল আছে যারা রিসাইকেল ফাইবার থেকে কাগজ বানায়। তাদের পাল্প লাগে না, তাদেরও অন্যান্য কেমিক্যাল ও ক্যালশিয়াম কার্বনেট আমদানি করতে হয়।  ভালো মানের কাগজ তৈরি করতে পাল্প আমদানি করতে হবে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে দিচ্ছে না।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মিল মালিকদের বলেছেন, পাঠ্যবই ছাপার কাগজ যথা সময়ে দরপত্রের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী দিতে হবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পেপার মিল মালিকদের দরপত্রের উল্লিখিত দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাগজের মান ঠিক রেখে কাগজ সরবরাহের অনুরোধ জানান। সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কাগজ কলগুলো এলসি খোলার চেষ্টা করলে ব্যাংকগুলো এলসি দিচ্ছে না বলেও গণমাধ্যকে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক যে কথা বলেছে ব্যাংকগুলো সে কথাও রাখছে না। কারণ ডলার বাইরে দিতে চায় না ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডলারের কিছু সংকট থাকলেও এলসি খোলা বন্ধের কোনও নির্দেশনা দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো পণ্যের বিপরীতে এলসি খুলছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.