মালয়েশিয়াজুড়ে আকস্মিক বন্যায় সপ্তাহান্তে হাজারো মানুষকে অস্থায়ী বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদিকে দেশটিতে প্রবল মৌসুমি বর্ষণের কারণে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কেদাহ রাজ্যের বিরোধী দলীয় এমপি মাহফুজ ওমর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বর্ষা মৌসুম চলাকালে নির্বাচনের আয়োজন করে ভোটারদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছেন। দেশব্যাপী প্রবল বর্ষণে আমি সত্যিই শঙ্কিত।’
মালয়েশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ আগামী শনিবার পর্যন্ত বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টি এবং টানা বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার দেশটির দুই কোটি ১০ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছে।
সপ্তাহান্তে এক বিবৃতিতে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, মালয়েশিয়ার ছয়টি রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২৫টি ত্রাণ কেন্দ্রে মোট ২,৩৮৮ জন আশ্রয় চেয়েছে।
মাহফুজ এএফপি’কে বলেন, ‘ভোটারদের ঘরবাড়ি বন্যা কবলিত এবং রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য থাকলে তারা ভোট দিতে যেতে পারবে না বলে আমি আশঙ্কা করছি।’
মাহফুজ ও অন্যরা নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক বছর আগে ভোট দিয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার এবং বিরোধী শক্তিকে পরাভূত করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরিকে দায়ী করেন।
গত বছর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশ ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার আঘাতে লন্ডভন্ড হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ওই বন্যার আঘাতে ৫০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারায় এবং হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।