The news is by your side.

ঢাকায় নোরা ফাতেহির কর প্রদান নিশ্চিত করতে হবে :  এনবিআর

0 116

‘সাকি সাকি’, ‘দিলবার’ গানে নাচ পরিবেশন করে ঝড় তোলা বলিউডের নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহি প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসার অনুমতি পেয়েছেন। বিদেশি শিল্পী হিসেবে ঢাকায় এসে কাজের জন্য আইন অনুযায়ী তাকে বাংলাদেশের প্রাপ্য উৎসে আয়কর পরিশোধ করতে হবে। তার কর প্রদানের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত হতে বলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) শাহীন আক্তারের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব; সুরক্ষা সেবা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব; জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যানের দপ্তরের একান্ত সচিব, ডিএমপি কমিশনার এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক বরাবর।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে এ চিঠি পাঠানো হলো।

এতে আরও বলা হয়, বিদেশি শিল্পীদের বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য উৎসে আয়কর পরিশোধের বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। এই আয়কর চুক্তিপত্রে উল্লেখিত পারিশ্রমিক, যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ সকল প্রকার খরচের ওপর পরিশোধযোগ্য অর্থের ৩০ শতাংশ হারে দিতে হয়।

আগামী ১৮ নভেম্বর ওমেন লিডারশিপ করপোরেশনের আয়োজনে ওমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ  নিতে  ঢাকায় আসছেন  ভারতীয় এ অভিনেত্রী।

ওমেন লিডারশিপ করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া মৃত্তিক বলেন, ‘নোরা ফাতেহি ঢাকায় আসবেন ১৮ নভেম্বর সকালে। এক দিন থাকবেন; ফিরে যাবেন ১৯ নভেম্বর সকালে।’

 

এক দিনের সফরে নোরা অংশ নেবেন ওমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডের ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে। মারিয়া জানান, নোরা নারী উদ্যোক্তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেবেন।

অনুষ্ঠানস্থলে নোরার কার্যক্রমের ভিডিও ধারণের মাধ্যমে তথ্যচিত্র নির্মিত হবে বলে জানান মারিয়া।

ওমেন লিডারদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়ার পর নোরার ছোট একটি পরিবেশনাও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন মারিয়া মৃত্তিক।

এর আগে ৭ নভেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে পাঁচ শর্তে তাকে ঢাকায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রথম শর্তে বলা হয়েছে- ভারতীয় অভিনেত্রী নোরাকে ১৮ নভেম্বর যাতায়াত সময় ব্যতীত একদিন বাংলাদেশে আগমন/অবস্থান করে ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে। এর বাইরে বর্ণিত সময়ের মধ্যে তিনি অন্য কোনো কাজে বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

দ্বিতীয় শর্ত অনুসারে, সংশ্লিষ্ট প্রযোজক অভিনেত্রীর জন্য যথানিয়মে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন/ উপহাইকমিশন থেকে ভিসা সংগ্রহ করবেন।

তৃতীয় শর্ত, বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্য অগ্রিম করের প্রমাণ ডকুমেন্টারির সেন্সরের সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে দেখাতে হবে। প্রমাণ দেখাতে না পারলে ডকুমেন্টারিটি সেন্সরের জন্য বিবেচনায় আনা হবে না।

চতুর্থ শর্ত হচ্ছে, এ আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অর্থ প্রদান করা হবে না। সর্বশেষ শর্ত হলো, উপরের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করা হলে সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টারি নির্মাণের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই চূড়ান্ত হবে ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.